Fire At Village

মায়ের ‘স্বভাব’ ঠিক করতে গোটা গ্রামে আগুন ধরালেন তরুণী! বাদ গেল না নিজের ঘরও

পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত তরুণীর নাম কীর্তি। তাঁর বিশ্বাস ছিল, সানামবাটলা গ্রাম থেকে পরিবারকে উৎখাত করতে পারলেই মায়ের ‘স্বভাবে’ বদল হবে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

তিরুপতি শেষ আপডেট: ২৩ মে ২০২৩ ১১:৩৪
Share:

গ্রামের প্রতিবেশীদের বাড়িতে মাঝ রাতে আগুন ধরিয়ে দিতেন তরুণী। প্রতীকী ছবি।

মায়ের ‘স্বভাব’ নিয়ে কন্যার সন্দেহ তৈরি হয়েছিল। তাই তাঁকে শুধরাতে এক বিশেষ কৌশল নিলেন এক তরুণী। মা এবং পরিবারকে গ্রামছাড়া করতে নিজের বাড়িতে তো বটেই, গোটা গ্রামে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

Advertisement

না, তবে একবারে আগুন ধরাননি তরুণী। এক মাস ধরে এই কাজ করে গিয়েছেন। আগুন ধরানোর কাজ শুরু করেছিলেন নিজের ঘর থেকেই। মাঝ রাতে উঠে মায়ের শাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিলেন। কিছু দিন পর আবার আগুন ধরিয়ে দেন মায়ের পোশাকে। হঠাৎ হঠাৎ আগুন লেগে যাচ্ছে পোশাকে, বিষয়টি নিয়ে আতঙ্ক তৈরি হয়েছিল তরুণীর পরিবারে।

কিন্তু সেখানেই থেমে থাকেননি তরুণী। তিনি দেখলেন, ঘরে আগুন ধরিয়েও যখন পরিবারকে গ্রাম থেকে উৎখাত করা যাচ্ছে না, তখন তিনি গ্রামবাসীদের ঘরে মাঝেমধ্যেই আগুন ধরানোর কাজ শুরু করেন। এ ভাবে এক মাস ধরে গ্রামে ১২টি প্রতিবেশীর বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন ওই তরুণী। ঘটনাটি অন্ধ্রপ্রদেশের তিরুপতি জেলার সানামবাটলা গ্রামের।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত তরুণীর নাম কীর্তি। তাঁর বিশ্বাস ছিল, সানামবাটলা গ্রাম থেকে পরিবারকে উৎখাত করতে পারলেই মায়ের ‘স্বভাবে’ বদল হবে। আর লক্ষ্যপূরণে গ্রামে আগুন লাগানোর মতো কাজ শুরু করেন। কীর্তির ধারণা ছিল যে, এ ভাবে গ্রামে এবং নিজের বাড়িতে আগুন লাগালে সকলের মনে ভয় ঢুকবে। গ্রামে এক অন্ধবিশ্বাসের ধারণা জন্মাবে। এক মাস ধরে এ ভাবে গ্রামের বিভিন্ন প্রতিবেশীর ঘরে আগুন লাগানোর কাজ করতেই বাস্তবে একটি ভীতি তৈরি হয়েছিল গ্রামে।

‘ভূতের’ উপদ্রব হয়েছে গ্রামে এমন বিশ্বাসে পুজো-আর্চাও করানো হয়। এই ঘটনার কথা পুলিশ, বিধায়ক এবং স্থানীয় প্রশাসনের কাছে পৌঁছয়। তখন তাঁরা গ্রামবাসীদের বোঝানোর চেষ্টা করেন, এই ঘটনা কোনও ‘অতিমানবিক’ কাজ নয়। কেউ ইচ্ছা করেই এমন কাণ্ড ঘটাচ্ছে। এর পরই গোপনে গ্রামে পাহারার ব্যবস্থা করে পুলিশ। তখনই আসল ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। পুলিশ দেখে, গ্রামেরই এক তরুণী আগুন লাগানোর ঘটনায় জড়িত। এর পরই কীর্তিকে আটক করা হয়। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে, মায়ের ‘স্বভাব’ ঠিক করতেই নাকি তিনি এই কৌশল নিয়েছিলেন। যাতে নিজের পরিবারকে গ্রামছাড়া করা যায়! তরুণীর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৩৫ এবং ৫০৬ ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement