ঘর থেকে সঙ্কটজনক অবস্থায় মহিলাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেই মৃত্যু হয়। প্রতীকী ছবি।
সিভিল ইঞ্জিনিয়ার স্বামীর পেনড্রাইভ থেকে অন্য মহিলার সঙ্গে তাঁর আপত্তিজনক ছবি মেলায় বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করলেন এক মহিলা। ঘটনাটি বিহারের মুজফ্ফরপুরের।
পুলিশ সূত্রে খবর, বিহারের মুজফ্ফরপুরের হরিয়াপুর থানা এলাকার বাসিন্দা আজমতের সঙ্গে গত বছরের এপ্রিলে বিয়ে হয়েছিল জাহির জাভেদের। কর্মসূত্রে ভোপালে থাকেন জাভেদ। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই আজমতের সঙ্গে অশান্তি শুরু হয় জাভেদের। আজমতের পরিবারের দাবি, অশান্তির মূল সূত্র ছিল জাভেদের বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক। একাধিক মহিলার সঙ্গে সম্পর্কের কথা জানতে পেরেছিলেন আজমত।
পুলিশ জানিয়েছে, জাভেদের বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের কথা জানার পরই তাঁকে হাতেনাতে ধরার জন্য সময় এবং সুযোগ খুঁজছিলেন আজমত। জাভেদের গতিবিধির উপরও নজর রাখছিলেন তিনি। একাধিক মহিলার সঙ্গে সম্পর্কের কথা জানার পর আজমত বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ করেছিলেন। কিন্তু তাতে ফল হয়েছিল উল্টো। অশান্তি আরও চরমে ওঠে।
এর পরই আজমত জাভেদের ঘর ছেড়ে বিহারে বাপের বাড়িতে চলে আসেন। দুই পরিবারের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনার পর আবার ভোপালে ফিরে যান আজমত। কিন্তু এ বার তাঁর হাতে পড়ে জাভেদের একটি পেনড্রাইভ। সেই পেনড্রাইভে কী আছে তা খতিয়ে দেখতে গিয়েই চমকে ওঠেন তিনি। আজমতের পরিবারের দাবি, একাধিক মহিলার সঙ্গে আপত্তিজনক অবস্থায় দেখা গিয়েছিল জাভেদকে। আর এই বিষয়টি সহ্য করতে না পেরে আবার বাপের বাড়িতে চলে এসেছিলেন আজমত। সেখানেই বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেন বলে প্রাথমিক ভাবে জানতে পেরেছে পুলিশ। একটি ভিডিয়োও উদ্ধার করেছে পুলিশ। এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন ওই ভিডিয়োতে সেখানে আজমতকে বলতে শোনা গিয়েছে, “আমি চললাম। এ বার তুমি খুশিতে থেকো। তবে আমার মতো আর কাউকে ধোঁকা দিয়ো না।”
মুজফ্ফরপুরের ডেপুটি পুলিশ সুপার রাঘব দয়াল জানিয়েছেন, শিক্ষকতা করতেন আজমত। মহিলার পরিবার জাভেদের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন। জাভেদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।