প্রতীকী ছবি।
পণের দাবিতে এক গৃহবধূকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠল শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে। ঘটনাটি পঞ্জাবের লুধিয়ানায়। মৃতার নাম মনদীপ কউর (৩৪)।
মনদীপের বাবা সুরিন্দর পাল সিংহের অভিযোগ, মেয়ের শ্বশুর মঙ্গলবার হঠাৎই ফোন করে জানান আগুন লেগে সামান্য আহত হয়েছে মনদীপ। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, “খবর পেয়েই সোজা হাসপাতালে পৌঁছই। তখন জানতে পারি মেয়ের শরীরের আঘাত অনেকটাই বেশি। ওকে পটিয়ালার রাজেন্দ্র সিংহ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। তবে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মেয়ের মৃত্যু হয়।”
সুরিন্দরের আরও অভিযোগ, মেয়ের মাথায়, মুখে বেশ কয়েকটি আঘাতের চিহ্ন ছিল। দেহের বেশির ভাগ অংশই পুড়ে গিয়েছিল। কিন্তু তাঁদের বলা হয়েছিল সামান্য আঘাত। পণের দাবিতেই মেয়েকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন সুরিন্দর।
পুলিশের কাছে সুরিন্দর দাবি করেন, বেশ কয়েক দিন ধরেই মনদীপকে বাপেরবাড়িতে নিয়ে যাওয়ার জন্য হুমকি দিচ্ছিলেন তাঁর স্বামী বলরাম সিংহ। এমনও বলা হয়েছিল বাড়িতে না নিয়ে গেলে মনদীপকে মরতেও হতে পারে।
ঘটনাটি গ্রাম পঞ্চায়েতে জানান সুরিন্দর। দু’পক্ষকে ডেকে বিষয়টি মিটামাটেরও ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু তার ফল হয় উল্টো। সুরিন্দরের অভিযোগ, এর পর থেকে মেয়ের উপর অত্যাচার আরও বেড়ে গিয়েছিল। আক্ষেপের সুরে তিনি বলেন, “মেয়েকে যদি সময়মতো বাড়িতে নিয়ে আসতাম তা হলে ওকে এ ভাবে মরতে হতো না।”
মনদীপের স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি এবং দেওরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন সুরিন্দর।