—প্রতীকী চিত্র।
দিল্লির এক তরুণীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল দুই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। তবে তাঁরা আদতে চিকিৎসক কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদের খোদা কলোনির। এক অভিযুক্তকে সোমবার গ্রেফতার করা হয়েছে। গত সপ্তাহে তরুণীকে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ।
পুলিশ সূত্রে খবর, সাকিব নামে ২২ বছরের এক যুবকের সঙ্গে হোয়াট্সঅ্যাপে পরিচয় হয়েছিল ২৪ বছরের এক তরুণীর। নিজেকে চিকিৎসক বলে দাবি করেছিলেন সাকিব। তাঁর একটি ক্লিনিক রয়েছে বলেও তরুণীকে জানান ওই যুবক। ঠান্ডা লেগেছিল তরুণীর। সেই কারণে তিনি অসুস্থ ছিলেন। তাই গত ৭ জুন সাকিবের ক্লিনিকে গিয়েছিলেন ওই তরুণী।
তরুণীর দাবি, ক্লিনিকে জাকি নামে আরও এক জনের সঙ্গে তাঁর আলাপ হয়। তিনিও নিজেকে চিকিৎসক বলে দাবি করেন। সে দিন ওই ক্লিনিক থেকে যে ওষুধ দেওয়া হয়েছিল তরুণীকে, তাতে তিনি সেরে ওঠেননি। তার পর, গত ১৯ জুন বিকেলে আবার ওই ক্লিনিকে গিয়েছিলেন তরুণী। সে দিন ক্লিনিক বন্ধ ছিল। তরুণীর অভিযোগ, সে দিন সাকিবের বাড়িতে যেতে বলেন জাকি। সেই মতো সেখানে যান তরুণী। সেই সময় বাড়িতে সাকিব ছিলেন না। পরে তিনি আসেন। অভিযোগ, তরুণীকে একটি ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়। তার পরই তরুণী অচৈতন্য হয়ে পড়েন। জ্ঞান ফেরার পর তরুণী দেখেন, তিনি অর্ধনগ্ন অবস্থায় রয়েছেন।
তরুণীর অভিযোগ, এর পর অভিযুক্তেরা হুমকি দেন হেনস্থার ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হবে। ঘটনার কথা কাউকে না-জানাতে তরুণীকে শাসান তাঁরা। পরে অবশ্য পুলিশের দ্বারস্থ হন ওই তরুণী। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ডি, ৩৪২, ৫০৬, ৩২৮ ধারায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। সাকিবকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে। জাকির খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। সাকিব এবং জাকি আদৌ চিকিৎসক কি না, তা-ও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।