উদ্বেগ প্রকাশ করলেন প্রধান রঞ্জন গগৈ। —ফাইল চিত্র।
দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ। রবিবার গুয়াহাটি হাইকোর্টের একটি অডিটোরিয়ামের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করতে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানেই খোলাখুলি নিজের মতামত প্রকাশ করেন তিনি। নির্দিষ্ট কোনও ব্যক্তি বা সংগঠনের নাম না নিলেও, গগৈ বলেন, ‘‘বর্তমানে কিছু মানুষ এবং সংগঠনের মারমুখী, বেপরোয়া আচরণের সাক্ষী হচ্ছি আমরা, যা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।’’
তবে বিচার ব্যবস্থার উপর পূর্ণ আস্থা রয়েছে তাঁর। খুব শীঘ্র এই স্বৈরাচার দূর হবে এবং দেশে স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে বলে আশাও প্রকাশ করেন গগৈ। তিনি বলেন, ‘‘আমার আশা এই ধরনের ব্যতিক্রমী কিছু ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটবে না। বিচারব্যবস্থার উচ্চ আদর্শ এবং ঐতিহ্য এই পরিস্থিতি থেকে সকলকে বেরিয়ে আসতে সাহায্য করবে।’’
প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, ‘‘সরকারি দফতরগুলি যে ভাবে চলে, দেশের আদালতগুলির নীতি তাদের চেয়ে অনেকটাই আলাদা। সবপক্ষের মানুষকে সুবিচার পাইয়ে দেওয়া আমাদের কর্তব্যের মধ্যে পড়ে। আমাদের রায় ও সিদ্ধান্তের উপর ভরসা করেন সাধারণ মানুষ। তাতে ভর করেই টিকে রয়েছে বিচার ব্যবস্থা। তাই কর্তব্যবোধ ভুললে চলবে না।’’ বিচার ব্যবস্থার মতো পবিত্র সংগঠনের অংশ হতে পারা অত্যন্ত সৌভাগ্যের বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
রবিবার গুয়াহাটিতে গগৈ। ছবি: পিটিআই।
আরও পড়ুন: দেরিতে হলেও জাগল কংগ্রেস! রাহুলের উত্তরসূরি বাছতে ১০ অগস্ট সিডব্লিউসি-র বৈঠক, জল্পনায় প্রিয়ঙ্কাও
আরও পড়ুন: অনুপ্রবেশ ইস্যুতে মুখরক্ষার চেষ্টা! ভারতের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ ইমরানের
এ বছর ৭ নভেম্বর প্রধান বিচারপতির পদ থেকে অবসর নেবেন রঞ্জন গগৈ। এই মুহূর্তে নাগরিক পঞ্জির খসড়া, অযোধ্যার বিতর্কিত জমি-সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মামলার শুনানি করছেন তিনি। তবে পর্যাপ্ত সংখ্যক বিচারপতি না থাকায় দেশের বিভিন্ন আদালতে অসংখ্য মামলা জমে রয়েছে। সেই সমস্যার কথাও এ দিন মেনে নেন গগৈ। তিনি জানান, এই মুহূর্তে দেশের বিভিন্ন আদালতে এক হাজারেরও বেশি ৫০ বছর পুরনো মামলা জমে রয়েছে। ২৫ বছর পুরনো জমে থাকা মামলার সংখ্যা দু’লক্ষের বেশি। সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতির সংখ্যা বাড়ানো নিয়ে ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠিও দিয়েছেন গগৈ। সেই নিয়ে নতুন বিল আনার পরিকল্পনা করছে কেন্দ্রীয় সরকার, যাতে প্রধান বিচারপতির পাশাপাশি শীর্ষ আদালতের মোট বিচারপতির সংখ্যা ৩০ থেকে বাড়িয়ে ৩৩ করা যায়।