দিল্লিতে ঠান্ডার কামড়। ছবি: পিটিআই।
দিল্লি-সহ উত্তর ভারতের রাজ্যগুলিতে গত কয়েক দিন ধরেই তাপমাত্রা নামতে শুরু করেছে। কোথাও কোথাও আবার শৈত্যপ্রবাহের মতো পরিস্থিতিও সৃষ্টি হয়েছে। রাজধানী দিল্লিতে শুক্রবারই তাপমাত্রা চার ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে পৌঁছেছিল। শনিবার সেই তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও তবে ৫ থেকে ৮ ডিগ্রির মধ্যেই ঘোরাফেরা করছে।
মৌসম ভবন জানিয়েছে, শনিবার দিল্লির পালম এলাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৮.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। লোধী রোডে ৫.২, সফদরজঙে ৫.৫ এবং আয়নগরে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী কয়েক দিন এই পরিস্থিতি থাকবে বলেও জানিয়েছে মৌসম ভবন। শুধু তাপমাত্রার পতনই নয়, রবিবার থেকে কুয়াশার দাপটও বাড়বে দিল্লি এবং সংলগ্ন এলাকায়।
শুক্রবার ঠান্ডায় হিমাচল প্রদেশের রাজধানী শিমলাকেও হার মানায় দিল্লি। শুক্রবার রাজধানীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমে যায় ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে। সেখানে শিমলার তাপমাত্রা ছিল ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। হিমালয় অঞ্চলের রাজ্যগুলিতে তুষারপাত শুরু হয়েছে। সমতলে বৃষ্টি চলছে। ফলে কনকনে ঠান্ডা হাওয়া ঢুকতে শুরু করেছে উত্তর ভারতের রাজ্যগুলিতে। ১৬-১৭ ডিসেম্বর নাগাদ একটি পশ্চিমি ঝঞ্ঝার সৃষ্টি হতে পারে। তার জেরে তুষারপাতের পরিমাণ বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। সমতলে বৃষ্টিও হতে পারে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ২৩-২৫ ডিসেম্বর তুষারপাতের পরিমাণ বাড়বে। সেই সঙ্গে দিল্লি, পঞ্জাব, হরিয়ানা, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, গুজরাতে হালকা বৃষ্টি হতে পারে। নামবে তাপমাত্রাও।
এ বছরে শীত অনেকটা দেরি করেই এসেছে। আবহবিদরা তার জন্য আবহাওয়ার বদলকেই দায়ী করেছেন। সাধারণত অক্টোবরের শুরুতেই পশ্চিমি ঝঞ্ঝার সৃষ্টি হয়। আর সেই সঙ্গে বছরের শেষ দু’টি মাস জম্মু-কাশ্মীর এবং হিমালয় অঞ্চলের রাজ্যগুলিতে ভারী তুষারপাত হয়। কিন্তু পশ্চিমি ঝঞ্ঝা ক্রমশ দুর্বল হচ্ছে। যার জেরে তুষারপাতের সময়ও পিছিয়ে যাচ্ছে।