জেতার মত প্রার্থী হলেই টিকিট দেওয়া হয় এআইইউডিএফ-এ। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনেও একই নীতি প্রয়োগ করা হবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন দলের সুপ্রিমো বদরউদ্দিন আজমল। এর আগেও এআইইউডিএফ দলীয় কর্মীদের বাদ দিয়ে ভোটের মুখে নতুন মুখকে প্রার্থী করেছে। এ নিয়ে কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ-বিক্ষোভের ঘটনাও কম নয়। বহু নেতা-কর্মী হতাশায় ভোগেন। তবে আজমলের ব্যাখ্যা অন্য রকম, সংখ্যার খেলায় দলের কাছে আসন জেতাটাই বড় কথা। কাজ করতে হলে আসন চাই। ফলে যাঁর জেতার সম্ভাবনা তাঁকেই টিকিট দেওয়া হবে। দলীয় কর্মীদের মনোবল হারানোর অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে তিনি বলেন, “প্রকৃত কর্মীরা দলের আসন বৃদ্ধিই চান। তাঁরা কখনও অন্য দলের মত বিক্ষুব্ধ হতে পারেন না।” হাইলাকান্দিতে জমিয়তে উলেমা-এ-হিন্দের প্রকাশ্য সভা উপলক্ষে আজ বরাক উপত্যকায় আসেন বদরউদ্দিন আজমল। তিনি রাজ্য জমিয়তেরও সভাপতি। সঙ্গে ছিলেন বিধায়ক বসিরউদ্দিন কাশিমি, পশ্চিমবঙ্গ জমিয়তের সভাপতি সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী।
হাইলাকান্দির সভায় আজমল জানিয়ে দেন, জাতীয় নাগরিক পঞ্জী তৈরির কাজে তাঁরা পূর্ণ সহায়তা করবেন। সে জন্য প্রতিটি সরকারি বুথে সংগঠনের লোকেদের থাকার অনুমতি চান তিনি। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চকে ভিত্তি ধরে পঞ্জী তৈরির কাজে তাঁদের আপত্তি নেই বলে জানিয়ে দেন। জাতীয় নাগরিক পঞ্জী তৈরির ব্যাপারে সকলকে সচেতন করে তুলতে আজমল স্থানীয় কর্মকর্তাদের অনুরোধ করেন।
বন্ধ লালায়। ক্ষোভে ফুঁসছে হাইলাকান্দির লালা শহর। বিচার না পেয়ে গত কাল থানা চত্বরে গায়ে আগুন দিয়ে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন স্থানীয় এক বিজেপি নেত্রী। পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে আজ বিজেপির ডাকে শহরে বন্ধ পালিত হয়। পরিস্থিতি মোকাবিলায় দক্ষিণ অসম রেঞ্জের ডিআইজি বিনোদ কুমার লালা থানায় উপস্থিত ছিলেন। বিজেপির বন্ধে এ দিন লালার কোথাও দোকানপাট খোলেনি। চলেনি যানবাহন। গোবিন্দলাল চট্টোপাধ্যায়, সুমন দাসের মতো বিজেপি নেতারা বলেন, “কোন পরিস্থিতি তৈরি হলে এক মহিলা এই পদক্ষেপ করতে পারেন। এখনও পুলিশ দুষ্কৃতীদের ধরতে পারেনি। তারা নিশ্চিন্তে ঘুরে বেড়াচ্ছে।” বিজেপির অভিযোগ, রাজনৈতিক কারণেই দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে না। ডিআইজি বিনোদ কুমার বিজেপি নেতাদের সঙ্গে কথা বলেন।