ফাইল চিত্র।
শিবসেনা সত্যিই বিজেপির সঙ্গ ছাড়লে এনডিএ-তে দ্বিতীয় বৃহত্তম দল হিসেবে উঠে আসবে নীতীশ কুমারের দল জেডি(ইউ)। নীতীশের দল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় না থাকলেও এখন তারা চাপ দিচ্ছে। শিবসেনা বেরিয়ে গেলে কি নীতীশের চাপ বাড়বে?
মহারাষ্ট্রে শিবসেনার সঙ্গে হাত মেলালে দিল্লির বিধানসভা ভোটে কংগ্রেসের ভোটব্যাঙ্কে কতটা প্রভাব পড়বে? মুসলিম ভোট হাতছাড়া হবে? কংগ্রেস নরম হিন্দুত্বের দিকে আরও এগোবে? ভবিষ্যতে মুম্বইয়ের পুরসভা নির্বাচন বা বৃহন্মুম্বই পুরসভার ভোটেও কি শিবসেনার সঙ্গে জোট বেঁধে লড়বে কংগ্রেস?
মহারাষ্ট্রে শিবসেনার সঙ্গে কংগ্রেস-এনসিপি মিলে সরকার গঠন নিয়ে সোমবার সারা দিন ধরে আলোচনা চলল। একই সঙ্গে জাতীয় রাজনীতিতে তার কী প্রভাব পড়তে পারে, তা নিয়েও সব শিবিরেই অঙ্ক কষা চলল। হিসেব কষলেন এনডিএ-শরিকরাও। সামনেই ঝাড়খণ্ডে নির্বাচন। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ তাঁর রাজ্যে বিজেপির সঙ্গে জোট বেঁধে সরকার চালালেও ঝাড়খণ্ডে একাই লড়বেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন। আজ এনডিএ-র আরেক শরিক এলজেপি নেতা চিরাগ পাসোয়ানও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, ঝাড়খণ্ডে তাঁরা একা
লড়তে পারেন।
এনডিএ জোটে শিবসেনার ১৮ জন সাংসদ আছেন। কিন্তু মন্ত্রিসভায় শুধু মাত্র ভারী শিল্প মন্ত্রক পেয়েছিল শিবসেনা। সোমবার সেই মন্ত্রী অরবিন্দ সাবন্ত পদত্যাগ করার পাশাপাশি বিজেপির সঙ্গে সেনার ৩০ বছরের সম্পর্ক ভাঙার ইঙ্গিত দেন। যদিও শিবসেনা এনডিএ ছাড়ার কথা ঘোষণা করেনি।
কংগ্রেসের মধ্যেও অঙ্ক চলছে শিবসেনাকে সমর্থন দেওয়া নিয়ে। মহারাষ্ট্রের বিধায়করা শুধু সমর্থন নয়, সরকারে যোগ দেওয়ারও পক্ষপাতী। বাইরে থেকে সমর্থন দিলেও অন্তত স্পিকার পদ চাওয়া হবে বলে ভাবনাচিন্তা হয়। কংগ্রেসের প্রবীণ নেতাদের অনেকে অবশ্য এর বিরোধী। শিবসেনার সঙ্গে কংগ্রেসের মতাদর্শগত ফারাক ছাড়াও তাঁদের চিন্তা, এর ফলে দিল্লির নির্বাচনে মুসলিম ভোট চলে যেতে পারে আম আদমি পার্টির ঝুলিতে।
মুম্বইয়ের কংগ্রেস নেতা সঞ্জয় নিরুপম বলেন, ‘‘মহারাষ্ট্রে সরকার গঠন হলেও তা টিকবে না। আগামী বছর ফের নির্বাচন হতে পারে। তখন কি কংগ্রেস শিবসেনার সঙ্গে জোট বাঁধবে?’’ বিজেপি ও শিবসেনা শিবিরে বৃহন্মুম্বই পুরসভা (বিএমসি) নিয়ে আলোচনা চলেছে। ২০১৭-র পুরভোটে বিজেপি ও শিবসেনা আলাদা লড়লেও পরে বিজেপির সমর্থনে ক্ষমতায় বসে শিবসেনা। গাঁটছড়া ভাঙলে বিএমসি শিবসেনার হাতছাড়া হবে।