সুরাতের দায়রা আদালতের রায়ের উপর নির্ভর করছে রাহুলের সাংসদ পদ ফিরে পাওয়া। ফাইল চিত্র।
জেলের সাজাপ্রাপ্ত রাহুল গান্ধী লোকসভার সাংসদ পদ ফিরে পাবেন কি না, বৃহস্পতিবার সে বিষয়ে রায় দিতে পারে নরেন্দ্র মোদীর রাজ্যের সুরাত দায়রা আদালত।
২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের প্রচারের সময় কর্নাটকের কোলারে ‘মোদী’ পদবি তুলে আপত্তিকর মন্তব্যের দায়ে গত ২৩ মার্চ গুজরাতের সুরাত ম্যাজিস্ট্রেট আদালত রাহুলকে ২ বছর জেলের সাজা দিয়েছিল। তারই ভিত্তিতে ২৪ মার্চ লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা ভারতীয় সংবিধানের ১০২(১)-ই অনুচ্ছেদ এবং জনপ্রতিনিধিত্ব আইন (১৯৫১)-র ৮(৩) নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাহুলের সাংসদ পদ খারিজ করেছিলেন।
ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের সেই রায়ের বিরুদ্ধে গত ৩ এপ্রিল সুরাতেরই দায়রা আদালতে (সেশনস কোর্ট) আবেদন জানিয়েছিলেন। বিচারক আরপি মোগেরা তা গ্রহণ করে জামিন বহাল রাখার নির্দেশ দেন। তবে সে দিন দায়রা আদালত রাহুলকে দোষী ঘোষণা করে ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক বিচারক এইচএইচ বর্মার রায়ের উপর স্থগিতাদেশ দেয়নি। দায়রা আদালতের কাছে ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের রায়ের উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ পাওয়ার জন্য রাহুলের তরফে যে আর্জি জানানো হয়েছিল, বৃহস্পতিবার তার রায় ঘোষণা হতে পারে। গত ১৩ এপ্রিল আগের শুনানির দিন অতিরিক্ত দায়রা বিচারক মোগেরা রায় সংরক্ষিত রাখার কথা ঘোষণা করেছিলেন।
রাহুলের বিরুদ্ধে যে প্রাক্তন বিজেপি বিধায়ক এবং গুজরাত সরকারের প্রাক্তন মন্ত্রী পূর্ণেশ মোদী অপরাধমূলক মানহানির অভিযোগ দায়ের করেছিলেন, তাঁকে ১০ এপ্রিলের মধ্যে বক্তব্য জানানোর নির্দেশ দিয়েছিল দায়রা আদালত। প্রসঙ্গত, জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ৮(৩) ধারায় বলা হয়েছে, ফৌজদারি অপরাধে দু’বছরের বেশি কারাদণ্ডপ্রাপ্ত কোনও ব্যক্তি সাজা ঘোষণার দিন থেকেই জনপ্রতিনিধি হওয়ার অধিকার হারাবেন। এবং মুক্তির পর অন্তত ছ’বছর পর্যন্ত ভোটে দাঁড়াতে পারবেন না। কিন্তু উচ্চতর আদালত রায়ের উপর স্থগিতাদেশ দিলে পদ ফিরে পেতে বাধা নেই। যেমন খুনের চেষ্টার অভিযোগে নিম্ন আদালতে সাজাপ্রাপ্ত লক্ষদ্বীপের এনসিপি সাংসদ মহম্মদ ফয়জ়ল সম্প্রতি লোকসভার সদস্যপদ ফিরে পেয়েছেন। কারণ কেরল হাই কোর্ট নিম্ন আদালতের রায়ে স্থগিতাদেশ দিয়েছিল।