রায়বরেলীর সভায় প্রিয়ঙ্কা গাঁধী। ছবি: টুইটার থেকে
অমেঠীতে হার এবং সারা দেশেই কংগ্রেসের খারাপ ফলের জন্য নিজের ক্ষোভ উগরে দিলেন প্রিয়ঙ্কা গাঁধী। দলের নিষ্ক্রিয় বা বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীদের কার্যত হুঁশিয়ারিও দিলেন কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক। বৃহস্পতিবার রায়বরেলীতে ভোটারদের ধন্যবাদজ্ঞাপক সভায় প্রিয়ঙ্কাকে যথেষ্টই ক্রুদ্ধ দেখিয়েছে।
এ বার লোকসভা ভোটে উত্তরপ্রদেশে কার্যত ভরাডুবি হয়েছে কংগ্রেসের। হাতে একমাত্র সনিয়া গাঁধীর রায়বরেলী আসন। গাঁধী পরিবারের আর এক শক্ত ঘাঁটি অমেঠী হাতছাড়া হয়েছে। গোটা দেশেও শোচনীয় ফল। লোকসভা ভোটে প্রিয়ঙ্কার দায়িত্ব ছিল পূর্ব উত্তরপ্রদেশের। তার মধ্যেই রায়বরেলী এবং অমেঠী কেন্দ্র পড়ে। ফলে হারের দায়িত্ব অনেকটাই তাঁর ঘাড়ে বর্তায়।
এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার মা সনিয়া গাঁধীর সঙ্গে রায়বরেলিতে যান প্রিয়ঙ্কা। সেখানে ভোটারদের ধন্যবাদ জানানোর পাশাপাশি কর্মীদের উদ্দেশে প্রিয়ঙ্কা বলেন, ‘‘ভোটেদলের হয়ে যাঁরা কাজ করেননি, তাঁদের আমি খুঁজে খুঁজে বের করব।’’ সেই সঙ্গেই তিনি যোগ করেন, ‘‘আমি কিছু বলতে চাইনি। কিন্তু যখন বলতে বলা হয়েছে, তখন সত্যিটাই আমাকে বলতে দিন। রায়বরেলীতে কংগ্রেস জিতেছে শুধুমাত্র সনিয়া গাঁধীর ব্যক্তিগত ক্যারিশ্মায়। আর জিতিয়েছেন এখানকার ভোটাররা।’’
আরও পডু়ন: ৪ ঘণ্টার মধ্যে কাজে যোগ না দিলে কঠোর ব্যবস্থা, এসএসকেএম-এ গিয়ে ডাক্তারদের হুঁশিয়ারি মুখ্যমন্ত্রীর
আরও পড়ুন: গুজরাত উপকূল থেকে সরছে বায়ু, ঝোড়ো হাওয়ায় হোর্ডিং ভেঙে মুম্বইয়ে মৃত ১
অর্থাৎকংগ্রেস কর্মীরা যে দলের হয়ে কাজ করেননি, সেই দিকেই ইঙ্গিত করেছেন ভোটের মরসুমেই সক্রিয় রাজনীতিতে আসা প্রিয়ঙ্কা। তবে প্রথম বার সক্রিয় রাজনীতিতে এলেও দলের হয়ে প্রচুর পরিশ্রম করেছেন কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক। রায়বরেলী-অমেঠী ছাড়াও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কেন্দ্র-সহ কার্যত পূর্ব উত্তরপ্রদেশ চষে ফেলেছেন। কিন্তু তার পরও দলের এই ফলে প্রিয়ঙ্কা যে যথেষ্টই হতাশ, তা এ দিন তাঁর কথাতেই ধরা পড়েছে। তবে সনিয়া গাঁধী এ দিন কোনও মন্তব্য করেননি।