হরিয়ানার বিভিন্ন শহরে ফ্ল্যাগ মার্চ শুরু করে দিয়েছে পুলিশ। ছবি: পিটিআই।
ধর্ষণ মামলার রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে আরও উত্তপ্ত পঞ্জাব-হরিয়ানা। ডেরা সচ্চা সৌদা প্রধান বাবা গুরমিত রাম রহিম সিংহের অনুগামীরা বিপুল সংখ্যায় চণ্ডীগড় এবং পঞ্চকুলায় ঢুকতে শুরু করেছেন। বাস পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েও বাবা রাম রহিমের সমর্থকদের আটকানো যাচ্ছে না। তবে প্রশাসনকে কিছুটা স্বস্তি দিয়ে বৃহস্পতিবার ডেরা প্রধান নিজেই শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন। আগামী কাল অর্থাৎ শুক্রবার রায় ঘোষণার সময় তিনি নিজে আদালতে হাজির থাকবেন বলেও বাবা রাম রহিম জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার গুরমিত রাম রহিম সিংহ টুইট করে জানিয়েছেন, তিনি শুক্রবার আদালতে হাজির থাকবেন। ‘‘আমি সর্বদা আইন মেনে চলেছি। যদিও আমার পিঠে ব্যথা রয়েছে, তবু আমি আগামী কাল আদালতে হাজির হব।’’ টুইটারে লিখেছেন রাম রহিম।
হরিয়ানা প্রশাসন সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই ২ লক্ষ ডেরা অনুগামী পঞ্চকুলা এবং চণ্ডীগ়ড়ে ঢুকে পড়েছেন। ডেরা প্রধান গুরমিত রাম রহিম সিংহের বিরুদ্ধে যে ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে, তাকে মিথ্যা বলেই মনে করেন ডেরার লক্ষ লক্ষ অনুগামী। শুক্রবার বিশেষ সিবিআই আদালত ধর্ষণ মামলার রায় ঘোষণা করবে। তাই বাবা রাম রহিমের প্রতি নিজেদের সমর্থন ব্যক্ত করতে কয়েক দিন আগে থেকেই চণ্ডীগড়-পঞ্চকুলা-মোহালিতে ভিড় জমাতে শুরু করেছেন রাম রহিমের অনুগামীরা।
পঞ্জাব ও হরিয়ানার বিভিন্ন গ্রাম থেকে পঞ্চকুলায় দলে দলে জড়ো হচ্ছেন ডেরা অনুগামীরা। ছবি: পিটিআই।
রায় ঘোষণার দিন গুরমিত রাম রহিম সিংহকে হাজির হতে হবে এজলাসে, এ কথা আদালতই জানিয়েছিল। এর পরে হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টর জানিয়ে দেন, রাম রহিম ওই দিন আদালতে হাজির হবেন। কিন্তু হরিয়ানা সরকারের এই ঘোষণায় অসন্তোষ ছড়ায় ডেরায়। গুরমিত রাম রহিম সিংহ এখন অসুস্থ, তিনি পিঠের ব্যাথায় ভুগছেন বলে ডেরার তরফে আগেই জানানো হয়েছিল। তা সত্ত্বেও হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী কী ভাবে আগ বাড়িয়ে ঘোষণা করলেন যে রাম রহিম শুক্রবার আদালতে হাজির থাকবেন? প্রশ্ন তোলা হয় ডেরার তরফে।
আরও পড়ুন: কুপ্রস্তাবে ‘না’, দিনদুপুরের ব্যস্ত রাস্তায় কিশোরীর হাত কাটল যুবক!
ডেরার সঙ্গে কোনও কথা না বলেই হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী এই ঘোষণা করেছেন বলে ডেরার এক মুখপাত্র অভিযোগ করেন। তবে বাবা রাম রহিম অনুগামীদের প্রতি শান্তি বজায় রাখার আহ্বানই জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: লড়াই শেষ হয়নি, বলছেন জাকিয়া-নুরজাহান
পঞ্জাব এবং হরিয়ানার পুলিশ অবশ্য কোনও ঝুঁকিই নিচ্ছে না। চণ্ডীগড়, পঞ্চকুলা, মোহালিতে বিপুল পুলিশি বন্দোবস্ত রাখা হয়েছে। অম্বালা থেকে চণ্ডীগড়ের দিকে কোনও বাসই যেতে দেওয়া হচ্ছে না। পঞ্জাব এবং হরিয়ানার বিভিন্ন গ্রাম থেকে যাতে ডেরা অনুগামীরা যাতে আর চণ্ডীগড়ের দিকে যেতে না পারেন, তার জন্যই এই ব্যবস্থা। তবে রাম রহিমের লোকজন ইতিমধ্যেই পঞ্চকুলা এবং চণ্ডীগড়ে যে জমায়েত ঘটিয়ে ফেলেছেন, তাতে শুক্রবার আশান্তির আশঙ্কা থাকছেই।