ফাইল চিত্র।
ভোট রাজনীতিতে তিনি কবে পা রাখবেন— সেই জল্পনা জিইয়ে রাখলেন দক্ষিণী সুপারস্টার রজনীকান্ত। চেন্নাইয়ে দলীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পরে আজ তিনি জানিয়েছেন, এ ব্যাপারে শীঘ্রই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করবেন।
বছর চারেক আগে কিডনি প্রতিস্থাপন হয়েছে রজনীকান্তের। তার উপরে রয়েছে করোনা সংক্রমণের ভয়। তাই ৬৯ বছরের এই দক্ষিণী সুপারস্টারকে ভোট ময়দানে নামতে দিতে আপত্তি রয়েছে তাঁর চিকিৎসকেদের। আজ চেন্নাইয়ে দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন রজনীকান্ত। ঘণ্টা দু’য়েকের বৈঠকে দলের জেলা সম্পাদকেরা-সহ ৫২ জন নেতা উপস্থিত ছিলেন। সেখানে দলের ভবিষ্যৎ পদক্ষেপ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। পরে এই দক্ষিণী সুপারস্টার বলেন, ‘‘আজকের বৈঠকে জেলা সম্পাদকদের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। তাঁদের মতামত শুনলাম। ওঁরা বলেছেন, ‘আপনি যে সিদ্ধান্ত নেবেন, আমরা তার পাশে থাকব’। যত শীঘ্র সম্ভব আমার সিদ্ধান্ত জানাব।’’
সূত্রের খবর, আজকের বৈঠকে রজনীকান্ত জেলার নেতাদের কাছে জানতে চেয়েছিলেন, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে তাঁর দল রজনী মাক্কাল মান্দ্রাম (আরএমএম)-এর অংশ নেওয়া উচিত কিনা। দলীয় নেতাদের একাংশ জানিয়েছে, অবিলম্বে দলের রাজনৈতিক পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করুন সুপারস্টার। যদিও দলের আর একটি অংশের যুক্তি, থালাইভা রজনীকান্তের স্বাস্থ্যের দিকটি ভাল করে খতিয়ে দেখে ধীরেসুস্থে সিদ্ধান্তে নেওয়া হোক। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, ভোট রাজনীতিতে অবতীর্ণ হলে এই দক্ষিণী সুপারস্টার বিজেপির সঙ্গে সমঝোতায় যেতে পারেন। আগামী বছরের এপ্রিল-মে মাসে তামিলনাড়ুর বিধানসভা নির্বাচন। আরএমএম নেতাদের বক্তব্য, রাজ্যবাসীর এক জন ‘সৎ ও প্রকৃত নেতার প্রয়োজন’, তাই ভোট ময়দানে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছেন রজনীকান্ত।
তামিলনাড়ুর রাজনীতিতে বরাবরই চলচ্চিত্র জগতের প্রভাব। এমজি রামচন্দ্রন, করুণানিধি, জয়ললিতা— এই তিন মুখ্যমন্ত্রী চলচ্চিত্র জগৎ থেকেই রাজনীতিতে এসেছিলেন। দ্রাবিড় রাজনীতিতে তাঁদের আধিপত্য ছিল প্রশ্নাতীত। এই তিন জনের প্রয়াণে যে শূন্যতা তৈরি হয়েছে, তা পূরণের সুযোগ রয়েছে রজনীকান্তের সামনে। তামিলনাড়ু বিধানসভা নির্বাচনের আগে ভোট-মঞ্চে তাঁর অভিষেক ঘটে কিনা, আপাতত সে দিকেই তাকিয়ে সকলে।