—ফাইল চিত্র।
নীবর মোদী। পিএনবি। বিশাল অঙ্কের আর্থিক প্রতারণা।
সংবাদ শিরোনামে এখন এ সবই ঘোরাফেরা করছে। আর সেই পিএনবি-র ঋণ ফেরতের প্রসঙ্গেই হঠাত্ উঠে এল লালবাহাদুর শাস্ত্রীর নাম। সৌজন্যে, কংগ্রেস সাংসদ শশী তারুর।
একটি টুইট করে শশী জানিয়েছেন, অর্ধশতক আগে ঋণ নিয়েছিলেন লালবাহাদুর শাস্ত্রী। আচমকা মৃত্যুর জন্য নিজে তা মেটাতে না পারলেও, তার পাইপয়সা শোধ করেছিলেন তাঁর স্ত্রী। এই কাহিনিই টুইটারে তুলে ধরেছেন কংগ্রেস সাংসদ শশী তারুর। সোশ্যাল মিডিয়ায় যা এখন রীতিমতো ভাইরাল।
গোটা ঘটনার স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে যেন নিজের ছেলেবেলায় ফিরে গেলেন কংগ্রেস নেতা তথা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর ছেলে অনিল শাস্ত্রীও। তাঁর কথায়, “দিল্লির সেন্ট কলম্বা’স স্কুলে পড়াশোনা করতাম। টাঙায় চড়েই স্কুলে যেতাম। কখনও সখনও বাবার সরকারি গাড়িতে চড়তাম। তবে তাতে বাবার প্রবল আপত্তি ছিল। নিয়মিত তা ব্যবহার করতে দিতেন না। সে সময়ই গাড়ি কেনার কথা ওঠে।” পরিবারের চাহিদা মেটাতেই গাড়ি কিনতে রাজি হয়ে যান তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী লালবাহাদুর। সালটা ১৯৬৪। বাছাবাছির পর ফিয়াট-এর একটি মডেল মনে ধরেছিল। নতুন ফিয়াট গাড়ির দামও জানতে পারলেন। ১২ হাজার টাকা। পরিবারের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে তখন পড়ে রয়েছে ৭ হাজার টাকা। এর পরই পিএনবি-তে ৫ হাজার টাকা ঋণের আবেদন করেন তিনি। এক দিনেই সে আবেদন মঞ্জুর করে পিএনবি।
আরও পড়ুন: টাকা শোধ আর হবে না! হুমকি নীরবের
নিজে অবশ্য ঋণের টাকা মিটিয়ে যেতে পারেননি লালবাহাদুর শাস্ত্রী। ১৯৬৬-এর ১১ জানুয়ারি তাসখন্দে হঠাত্ই মারা যান তিনি। ভারত-পাকিস্তান শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরে সেখানে গিয়েছিলেন তিনি।
লালবাহাদুরের অকালমৃত্যুর পর ঋণের টাকা ফেরত চেয়ে তাঁর স্ত্রী ললিতা শাস্ত্রীকে চিঠি দেন পিএনবি কর্তৃপক্ষ। অনিল শর্মা বলেন, “বাবার মৃত্যুর তাঁর পেনশনের টাকা থেকে ধীরে ধীরে মিটিয়ে দেন আমার মা।”
আরও পড়ুন: জনস্বার্থ মামলা খারিজ, পিএনবি কাণ্ডে হস্তক্ষেপে নারাজ সুপ্রিম কোর্ট
এই ধরনের খবর আপনার ইনবক্সে সরাসরি পেতে এখানে ক্লিক করুন
শাস্ত্রী পরিবারের সেই গাড়িটি এখনও রয়েছে। তবে তা আর ব্যবহার করেন না অনিল শাস্ত্রীরা। দিল্লির মোতিলাল নেহরু মার্গে লালবাহাদুরের স্মৃতির উদ্দেশ্যে তৈরি ভবনে এখন দাঁড়িয়ে রয়েছে ঘিয়ে রঙের ফিয়াটটি ।