উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গে উদ্ধারকাজ চলছে। ছবি: পিটিআই।
উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গে গত ১৫ দিন ধরে আটকে আছেন ৪১ জন শ্রমিক। তাঁদের বার করে আনার বহু চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সাফল্য অধরা। শুক্রবার রাতে খননযন্ত্র খারাপ হয়ে যাওয়ায় উদ্ধারকাজ নতুন করে ব্যাহত হয়েছে। কবে সকলকে উদ্ধার করা যাবে, এখন নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না উদ্ধারকারীরা।
আন্তর্জাতিক সুড়ঙ্গ বিশেষজ্ঞ আর্নল্ড ডিক্স জানিয়েছেন, শ্রমিকদের সুড়ঙ্গ থেকে উদ্ধার করতে আরও মাসখানেক সময় লাগতে পারে। বড়দিনের মধ্যে তাঁরা সকলে সুড়ঙ্গ থেকে বেরিয়ে আসবেন বলে আশাবাদী তিনি। সুড়ঙ্গে আর মাত্র ১০ মিটার ধ্বংসস্তূপ খোঁড়া বাকি। এই কয়েক মিটার খুঁড়ে শ্রমিকদের কাছে পৌঁছতে কেন এত সময় লাগবে?
আমেরিকায় তৈরি অগার যন্ত্রটি শুক্রবার রাতে সুড়ঙ্গের লোহার কাঠামোয় আটকে ভেঙে গিয়েছিল। সেই যন্ত্র আর মেরামত করা সম্ভব নয়। ফলে অন্য রাস্তা খুঁজতে হচ্ছে উদ্ধারকারীদের। তাঁরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, বাকি কয়েক মিটার হাত দিয়েই খুঁড়ে ফেলা হবে। শাবল-গাঁইতি নিয়ে সুড়ঙ্গে নামবেন অন্য শ্রমিকেরা। রবিবার থেকেই নতুন করে খোঁড়াখুঁড়ি শুরু হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
২০ জন শ্রমিককে আপাতত এই ‘ম্যানুয়াল ড্রিলিং’ বা হাত দিয়ে খোঁড়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। যে ৪৭ মিটার ধ্বংসস্তূপ ইতিমধ্যে যন্ত্রের মাধ্যমে খোঁড়া হয়ে গিয়েছে, সেখানে প্রথমে কয়েক জন ঢুকবেন। তাঁরা কিছুটা খুঁড়ে কাজ থামিয়ে বেরিয়ে আসবেন। আবার পরের দফায় অন্য কয়েক জন শ্রমিক সুড়ঙ্গে ঢুকবেন। দফায় দফায় বিরতি নিয়ে নিয়ে কাজ এগোবে। এর ফলেই বেশি সময় লাগতে পারে। মাসখানেকও লেগে যেতে পারে শ্রমিকদের কাছে পৌঁছতে।
সুড়ঙ্গের উপর দিক থেকে খোঁড়ার কথাও ভাবা হয়েছে। তার জন্য হায়দরাবাদ থেকে অন্য একটি যন্ত্র আনা হয়েছে। বর্ডার রোডস অর্গানাইজ়েশন পাহাড়ের উপরের অংশ পর্যন্ত একটি রাস্তা তৈরি করে দিয়েছে। সেই রাস্তা দিয়ে যন্ত্রটিকে সুড়ঙ্গের মাথায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখান থেকে খোঁড়া শুরু হতে পারে।