বোমা রাখার বিষয়টি অবশ্য পুলিশই প্রকাশ্যে এনেছে। প্রতীকী ছবি।
এক মাসের মধ্যে রাজধানীর ৩০টি জায়গায় বোমা রেখেছিল দিল্লি পুলিশ! যে বোমার সঙ্গে অপরাধের একটা যোগ রয়েছে, সেই বোমা কেন রাখতে গেল পুলিশ? বোমা রাখার খবর এলে তা নিষ্ক্রিয় করাই তো কাজ তাদের! কিন্তু এ ক্ষেত্রে বিপরীত ছবিই উঠে এসেছে। বোমা রাখার বিষয়টি অবশ্য পুলিশই প্রকাশ্যে এনেছে।
তবে এ বোমা সত্যিকারের নয়। ভুয়ো। এ রকম পরিস্থিতি সামাল দিতে শহরের পুলিশ কতটা প্রস্তুত তারই পরীক্ষা চালানো হচ্ছিল বলে দিল্লি পুলিশ সূত্রে খবর। বিজেপির নিলম্বিত (সাসপেন্ড) মুখপাত্র নূপুর শর্মার বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে সম্প্রতি আল-কায়দা দিল্লি, মুম্বই, উত্তরপ্রদেশ এবং গুজরাতে আত্মঘাতী হামলা চালানোর হুমকি দিয়েছিল।
সেই হামলা ভেস্তে দেওয়ার জন্য রাজধানীর পুলিশ কতটা প্রস্তুত তার একটা নমুনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়। রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলিতে ৩০টি ভুয়ো বোমা রাখা হয়েছিল। ৩০টির মধ্যে ১৫টি বোমা রাখা হয় গত ১২ জুন। তার মধ্যে ১০টি বোমাকে খুঁজে বার করতে পেরেছিল দিল্লি পুলিশ। বাকি দু’টি খুঁজে পায়নি তারা।
আবার ২৮ জুন আরও এক দফায় ১৫টি বোমা রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় লুকিয়ে রাখা হয়। ঘটনাচক্রে, এই দফায় মাত্র দু’টি বোমা খুঁজে পেয়েছিল পুলিশ। দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল এই বোমাগুলি রেখেছিল। এই পরীক্ষার মধ্যে দিয়েই রাজধানীর নিরাপত্তা ব্যবস্থা কতটা মজবুত তা খতিয়ে দেখাই ছিল মূল উদ্দেশ্য।
পুলিশের শীর্ষ কর্তারা প্রস্তাব দিয়েছেন এই ধরনের পরীক্ষা বিমানবন্দর, মেট্রো, রেলস্টেশনেও চালানোর। প্রতি মাসে দু’বার করে এই ধরনের মহড়ার প্রস্তাব দিয়েছেন তাঁরা।