বুধবার সেই ঘটনার দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি হয়েছে। ছবি সৌজন্য টুইটার।
সমুদ্রের বিশাল ঢেউ এসে ভাসিয়ে নিয়ে গেল এক ব্যক্তি ও তাঁর দুই সন্তানকে। ছেলে এবং বাবার দেহ উদ্ধার হলেও, মেয়েটি নিখোঁজ।
বুধবার একটি ভিডিয়ো নেটমাধ্যমে ভাইরাল হয়। সেখানে দেখা যাচ্ছিল, সমুদ্রের পাড়ে দাঁড়িয়ে বহু পর্যটক। কেউ ঢেউয়ের জলে ভিজছেন, কেউ সেই দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করছিলেন। অন্য পর্যটকদের মতো দুই ছেলেমেয়ে শ্রেয়স (৬), শ্রুতি (৯) এবং স্ত্রীকে নিয়ে সমুদ্রের আছড়ে পড়া ঢেউয়ে ভিজছিলেন শশীকান্ত মহামানে। কিন্তু সেই ঢেউই যে তিন জনের প্রাণ কেড়ে নেবে ঘুণাক্ষরে আঁচ করতে পারেননি শশীকান্ত।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, স্ত্রী এবং দুই সন্তানকে নিয়ে কর্মসূত্রে দুবাইয়ে থাকেন আদতে মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা শশীকান্ত। ছেলেমেয়ে এবং স্ত্রীকে নিয়ে ছুটি কাটাতে প্রতিবেশী দেশ ওমানে গিয়েছিলেন শশীকান্ত। রবিবার সেখানে পৌঁছেছিলেন।
বুধবার সমুদ্রের ধারে বেড়াতে যান শশীকান্তরা। সমুদ্রের উত্তাল ঢেউ আছড়ে পড়ছিল পাথুড়ে পাড়ের উপর। পর্যটকরা সাধারণত ওই জায়গাতেই ঘুরতে আসেন। বুধবারও প্রচুর পর্যটক সমুদ্রের দৃশ্য উপভোগ করছিলেন নানা ভাবে। কেউ ঢেউয়ের জলে ভিজছিলেন, কেউ আবার ছবি তুলতে ব্যস্ত ছিলেন। স্ত্রী এবং দুই ছেলেমেয়েকে নিয়ে সমুদ্রের ধারে দাঁড়িয়েছিলেন শশীকান্ত।
ছেলে শ্রেয়স এবং মেয়ে শ্রুতিকে নিয়ে শশীকান্ত।
এক এক করে ঢেউ আছড়ে পড়ছিল, আর সেই ঢেউয়ের মজা নিচ্ছিলেন সকলে। কিন্তু চকিতেই ঘটে গেল ভয়ানক ঘটনা। বিশাল একটা ঢেউ আছড়ে পড়ল পাড়ে। আর সেই ঢেউয়ে ছিটকে পড়লেন অনেকেই। দুই ছেলেমেয়ে নিয়ে শশীকান্তও ছিটকে পড়েছিলেন। কিন্তু জলের সেই স্রোতে পড়ে দুই ছেলেমেয়ে তাঁর হাত ছিটকে গড়িয়ে যাচ্ছে দেখে শশীকান্ত তাদের আটকাতে এগিয়ে যান। কিন্তু পাড় পিচ্ছিল থাকায় নিজেকে সামলাতে পারেননি। ছেলেমেয়েকে নিয়েই সমুদ্রে ভেসে যান শশীকান্ত। কেউ কেউ দৌড়ে তাঁদের আটকাতে গিয়েছিলেন, কিন্তু তত ক্ষণে তিন জনই নাগালের বাইরে চলে যান। চোখের সামনে স্বামী, সন্তানদের অসহায়ের মতো ডুবতে দেখেন শশীকান্তের স্ত্রী।