খালি পায়ে খাবার সরবরাহকারী যুবককে দেখে প্রশ্ন করেছিলেন এক ব্যক্তি।
লিফটে উঠেই খাবার সরবরাহকারী এক যুবকের মুখোমুখি হয়েছিলেন তারিক খান। তাঁর পায়ের দিকে নজর গিয়েছিল তারিকের। কৌতূহল চেপে রাখতে না পেরে সরাসরি প্রশ্নটা করেই ফেলেছিলেন— ‘খালি পায়ে কেন, ভাই?’ এই প্রশ্ন দিয়েই কথোপকথন শুরু হয়েছিল দু’জনের। কিন্তু শেষে খাবার সরবরাহকারী ওই যুবক যা উত্তর দিলেন, তাতে মন ভারাক্রান্ত হয়ে গিয়েছিল তারিকের। একই সঙ্গে ওই যুবকের কাছ থেকে একটি শিক্ষাও অর্জন করেছেন তিনি। দু’জনের সেই কথোপকথন সমাজমাধ্যমে শেয়ার করেছেন তারিক।
তারিক (খাবার সরবরাহকারী যুবককে উদ্দেশ করে): জুতো পরেননি কেন?
যুবক: আজ একটা দুর্ঘটনা হয়েছে। পায়ে লেগেছে। গোড়ালি ফুলে গিয়েছে।
তারিক (যুবকের পায়ের দিকে তাকিয়ে): তা হলে আপনার বিশ্রাম নেওয়া প্রয়োজন! কাজ করছেন কেন?
যুবক (স্মিত হেসে): স্যর, আমার পরিবার আছে। আমার উপরই ওরা নির্ভরশীল। কাজ বন্ধ করলে খাওয়াব কী ওদের!
এই কথোপকথনের মধ্যেই লিফট গন্তব্যে পৌঁছল। দরজা খুলতেই বেরনোর সময় যুবক তারিকের দিকে তাকিয়ে বললেন— শুভ সন্ধ্যা, স্যর। তার পরই চলে যান তিনি। তিনি চলে যাওয়ার পর একটা ঘোরের মধ্যে ছিলেন তারিক। এত কঠিন পরিস্থিতির মধ্যেও কী ভাবে এত স্থির থাকা যায়, কী ভাবে হাসিমুখে কষ্ট সহ্য করেও কাজ করা যায়, সেটাই তাঁকে যেন শিখিয়ে গেলেন যুবক। তারিক বলেন, “এই মানুষগুলিকে দেখে আরও পরিশ্রম করতে ইচ্ছা করে। সত্যিই অতুলনীয়।”