করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। —প্রতীকী চিত্র।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে ৩৩৫ জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের হদিস মিলেছে। মৃত্যু হয়েছে পাঁচ জনের। এই মুহূর্তে সারা দেশে করোনা রোগীর সংখ্যা ১,৭০১ জন।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান বলছে, রবিবার যে পাঁচ জন করোনার কারণে মারা গিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে চার জনই কেরলের বাসিন্দা। এ ছাড়া, উত্তরপ্রদেশ থেকে একটি মৃত্যু নথিভুক্ত হয়েছে। কেরল চিন্তা বাড়িয়েছে। কারণ, সেখানেই করোনার নতুন একটি উপরূপের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। যার নাম জেএন.১। এখনও পর্যন্ত কেরলে এক জনের শরীরেই ওই উপরূপের অস্তিত্বের কথা জানা গিয়েছে।
করোনার উপরূপ জেএন.১ গত সেপ্টেম্বর মাসে আমেরিকায় প্রথম পাওয়া যায়। তার পর ভাইরাসের এই উপরূপযুক্ত বেশ কয়েক জন রোগীর কথা জানা গিয়েছে। সম্প্রতি চিনে জেএন.১ চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সাত জনের শরীরে মিলেছে ওই উপরূপ। সাধারণ করোনা রোগীর সংখ্যাও কম নয়।
বিভিন্ন দেশেই করোনা নতুন করে মাথা চাড়া দিতে শুরু করেছে। যা নিয়ে সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। ইতিমধ্যে তারা বিভিন্ন দেশকে এ বিষয়ে বাড়তি সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে। মারিয়া ভান কেরকোভে হু-এর এক আধিকারিক, যিনি করোনা সংক্রান্ত বিষয়গুলির তত্ত্বাবধান করেন। তাঁর পরামর্শ ভিডিয়ো-বার্তার মাধ্যমে প্রকাশ করেছে সংস্থাটি। ওই আধিকারিক জানিয়েছেন, কেন এই সময় হঠাৎ আবার করোনা মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে শুরু করেছে। কী ভাবে তা ঠেকানো যায়, সেই উপায়ও বাতলে দিয়েছেন।
বিভিন্ন দেশে নতুন করে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি এবং জেএন.১ উপরূপের হদিস স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের সতর্ক হতে বাধ্য করেছে। সেই কারণেই নড়েচড়ে বসেছে হু-ও।
হু আধিকারিক জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে যত করোনা আক্রান্ত রোগী আছেন, তাঁদের ৬৮ শতাংশের দেহে রয়েছে এক্সবিবি উপরূপ। বাকি রোগীর দেহে ঘুরছে জেএন.১। শীতের মরসুমে রোগের দাপট আরও বাড়তে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছে।