মেহুল চোক্সীকে দেশে ফেরাতে ডমিনিকায় গিয়েছে ৮ সদস্যের দল। সেই দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন যিনি, তিনি এক জন মহিলা আইপিএস কর্তা। নাম শারদা রাউত। মেহুলকে দেশে ফেরাতে তাঁর উপরেই ভরসা রেখেছে কেন্দ্র।
শারদার অধীনে ডমিনিকায় গিয়েছেন, সিবিআই এবং ইডি দু’জন করে সদস্য। ওই দলে রয়েছেন সেন্ট্রাল রিজার্ভ ফোর্সের দু’জন কম্যান্ডোও।
পিএনবি-র ঋণ জালিয়াতি মামলার তদন্তকারী দলের সদস্য ছিলেন শারদা রাউত। সাড়ে ১৩ হাজার কোটি টাকার এই ঋণ প্রতারণা মামলাতেই গ্রেফতার হয়েছিলেন মেহুল।
২০০৫ ব্যাচের আইপিএস শারদা। এখন সিবিআইয়ের ব্যাঙ্ক প্রতারণা সংক্রান্ত তদন্ত বিভাগের প্রধান তিনি।
মাত্র ১৬ বছরের কেরিয়ারেই মহারাষ্ট্রের পুলিশ মহল এবং সিবিআইয়ে বেশ নাম করেছেন শারদা।
কর্মসূত্রে যেখানেই থেকেছেন, তাঁর কাজ প্রশংসা পেয়েছে সব মহলে।
শারদার সঙ্গে যাঁরা কাজ করেছেন, তাঁরা প্রত্যেকেই মেনেছেন, তাঁর কাজের ধরন একেবারে আলাদা।
মহারাষ্ট্র পুলিশ মহলে শারদা পরিচিত বাস্তবের ‘সিংঘম’ হিসাবে। মহারাষ্ট্র পুলিশ মহলে তাঁকে নিয়ে একটি কথা চালু আছে। বলা হয় শারদা যখনই যেখানে গিয়েছেন, হয় অপরাধীরা অপরাধ করা বন্ধ করে দিয়েছে, না হলে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছে।
পুলিশ মহলে প্রশংসিত শারদার পেশাদার মনোভাবও। মহারাষ্ট্রের পালঘর, মুম্বই, নাগপুর, মীরা রোড, কোলাপুর এবং নন্দুরবারে মোতায়েন ছিলেন তিনি। যেখানেই কাজ করেছেন সেখানেই নিজের ছাপ রেখে গিয়েছেন শারদা।
এক সন্তানের মা শারদার জন্ম মহারাষ্ট্রের নাসিকে।
মহিলাদের অধিকার নিয়ে নানা অনুষ্ঠানে বরাবর হাজির থাকতে দেখা গিয়েছে শারদাকে।
শারদা যদি মেহুলকে দেশে ফেরাতে পারেন, তবে সেটি তাঁর কেরিয়ারের একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক হয়ে থাকবে।