হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থাতেই নাক দিয়ে রক্ত ঝরার একাধিক ভিডিয়ো নেটমাধ্যমে পোস্ট করে রাতারাতি সারা দেশের কাছে পরিচিত মুখ হয়ে উঠেছিলেন তিনি।
জোম্যাটোর ডেলিভারি বয়-এর বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ আনা সেই তরুণী হিতেশা চন্দ্রাণী কে জানেন?
হিতেশা বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা। তিনি পেশায় একজন মডেল।
এর বাইরে তাঁর আরও একটা পরিচয় রয়েছে। তিনি একজন লেখকও।
নেটমাধ্যমের পাতায় খুবই সক্রিয় হিতেশা। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টুইটারে একাধিক ভিডিয়ো শেয়ার করেন তিনি।
ইনস্টাগ্রামে তাঁর ফলোয়ারের সংখ্যা ৯৫ হাজার ২০০ এবং এখনও পর্যন্ত পোস্ট করেছেন ৪০৪টি।
পাশাপাশি তিনি একজন পেশাদার মেকআপ আর্টিস্টও। মেকআপ-এর প্রচুর ভিডিয়ো নেটমাধ্যমে পোস্ট করেন তিনি।
এ ছাড়া বিভিন্ন ব্র্যান্ডের জামাকাপড় কিনে সে সব সম্পর্কে মতামত জানান।
তবে এত কিছু করেও সেই পরিচিতি তিনি পাননি, যতটা রাতারাতি পেয়ে গিয়েছিলেন জোম্যাটোর ওই ঘটনার পর।
জোম্যাটো ডেলিভারি বয় তাঁর নাক ফাটিয়ে দিয়েছেন বলে ভিডিয়ো শেয়ার করে অভিযোগ করেছিলেন হিতেশা।
পরে অবশ্য তাঁর বিরুদ্ধেও পাল্টা মামলা করেছেন অভিযুক্ত ডেলিভারি বয় কামরাজ। কামরাজের পাল্টা অভিযোগ, চন্দ্রাণীই নাকি তাঁকে জুতোপেটা করেন, মারধর করে তাড়িয়ে দেন।
কামরাজের অভিযোগের ভিত্তিতে চন্দ্রাণীর বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট ধারায় ফৌজদারি মামলা রুজু করেছে বেঙ্গালুরু পুলিশ।
নাক দিয়ে রক্ত ঝরছে, হাসপাতালের বেডে শুয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এবং নাকে ব্যান্ডেজ করা অবস্থায় একাধিক ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছিলেন চন্দ্রাণী। তিনি অভিযোগ তুলেছিলেন, জোম্যাটোর ডেলিভারি বয় নাকে ঘুঁসি মেরে তাঁকে আহত করেছেন।
দু’পক্ষের বয়ানের ভিত্তিতেই তদন্ত নেমেছে পুলিশ। জোম্যাটোর তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, ডেলিভারি বয় এবং চন্দ্রাণী দু’পক্ষের বিবৃতিকেই তাঁরা গুরুত্ব দিচ্ছে। প্রকৃত ঘটনা সামনে এলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে।