বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধানের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী। গান্ধীনগরে। ছবি: রয়টার্স
গুজরাতিতে গত কাল তিনি জিজ্ঞাসা করেছিলেন, ‘‘কেম ছো…মাজামা?’’ আর আজই তাঁর গুজরাতি নামকরণ হল— তুলসীভাই।
গুজরাতের গান্ধীনগরে ‘গ্লোবাল আয়ুষ ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড ইনোভেশন’ নামে শীর্ষ সম্মেলনের মঞ্চেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-এর প্রধান ট্রেডস অ্যাডানম গেব্রিয়েসাসকে ‘তুলসীভাই’ নাম দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। নতুন নামে দৃশ্যতই আপ্লুত মঞ্চে বসা হু-প্রধান। কেন তাঁর নাম ‘তুলসীভাই’ রাখলেন আজ তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ‘‘হু-এর ডিরেক্টর জেনারেল আমার ভাল বন্ধু। তিনি আমাকে সব সময় বলেন, ভারতীয় শিক্ষকেরা আমাকে পড়িয়েছেন। আমার জীবনে ওই শিক্ষকদের ভূমিকা অসামান্য। আজ উনি আমাকে বললেন, ‘আমি পাক্কা গুজরাতি হয়ে গিয়েছি! আমার কোনও নাম ঠিক করলেন?’ তাই মহাত্মা গান্ধীর এই পবিত্র ভূমিতে দাঁড়িয়ে আমার প্রিয় বন্ধুর গুজরাতিতে নাম রাখছি তুলসীভাই।’’
গেব্রিয়েসাসের নতুন নামকরণ করে তুলসী গাছের মাহাত্ম্যের ব্যাখ্যা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। মোদী বলেন, ‘‘তুলসী সেই গাছ, যাকে বর্তমান প্রজন্ম কার্যত ভুলে যাচ্ছে। কিন্তু ভারতে প্রজন্মের পর প্রজন্ম বাড়ির সামনে তুলসী গাছ লাগানো এবং তার পুজো করা একটা পরম্পরা ছিল। তুলসী সেই গাছ যা ভারতে আধ্যাত্মিকতার সঙ্গে যুক্ত।
গত কাল হু প্রধান ‘কেম ছো’ বলে বক্তৃতা শুরু করার বিষয়টি উল্লেখ করে তাঁর প্রশংসাও করেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ‘‘গুজরাতের প্রতি আপনার ভালবাসা এবং আপনি গুজরাতি বলার চেষ্টা করেন। যে সকল শিক্ষকেরা আপনাকে শিক্ষাদান করেছেন, তাঁদের প্রতি সবসময় শ্রদ্ধাশীল। তাই এই পবিত্র ভূমিতে দাঁড়িয়ে আপনাকে তুলসীভাই বলে ডাকতে আমার অত্যন্ত আনন্দ হচ্ছে।’’
মোদী যখন গেব্রিয়েসাসের নতুন নাম ঘোষণা করেন, তখন করতালিতে মুখর গোটা অনুষ্ঠান গৃহ। আপ্লুত হু-প্রধানও। পরে নিজের বক্তৃতায় তিনি বলেছেন, ‘‘আমি সৌভাগ্যবান, কারণ মহাত্মা গান্ধীর দেশে আসতে পেরেছি।’’