প্রতীকী ছবি।
ধারাবাহিক ধর্ষণ শুধু নয়, ব্ল্যাকমেলের হুমকিও দেওয়া হচ্ছিল হোয়াটসঅ্যাপে। একই সঙ্গে নিজেদের মধ্যে চালাচালি চলছিল ধর্ষিতার আপত্তিকর সব ভিডিও আর ছবি। সম্প্রতি সেই হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ হিস্ট্রির দৌতলেই বছর দুয়েক আগেকার এক গণধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত দিল্লির তিন আইনের ছাত্রকে দোষী সাব্যস্ত করে হাজতবাসের নির্দেশ দিল হরিয়ানার নিম্ন আদালত। বৈদ্যুতিন তথ্যের ভিত্তিতে এমন রায় সম্ভবত দেশে প্রথম বলেই দাবি করছেন অভিযোগকারিণীর কৌঁসুলি।
সোনেপতের গ্লোবাল জিন্দল বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনা। তরুণীর বয়ান অনুযায়ী, ২০১৩-তে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আসার পরেই তাঁকে নিশানা করে হার্দিক সিকরি নামে ফাইনাল ইয়ারের ছাত্র ও তার দুই বন্ধু করণ ছাবরা ও বিকাশ গর্গ। ভয় দেখিয়ে দিনের পর দিন তাঁকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। জোর করে ছাত্রীটিকে যে চণ্ডীগড়ে নিয়ে যাওয়া হয়, তারও প্রমাণ রয়েছে হোয়াটসঅ্যাপে। ২৪ মে মামলার শুনানিতে হোয়াটসঅ্যাপের ওই কথোপকথনের নিন্দা করেন অতিরিক্ত দায়রা বিচারক সুনীতা গ্রোভার। গণধর্ষণ ও ব্ল্যাকমেলের অভিযোগে হার্দিক ও করণের ২০ বছরের জেল হয়েছে। ঘটনায় প্রত্যক্ষ যোগ না থাকায় ৭ বছরের জেল হয়েছে বিকাশের।
বিচারকের দাবি, ধর্ষিতাকে টানা দু’বছর যে ভাবে ভয়ে-ভয়ে থাকতে হয়েছে তার স্পষ্ট প্রমাণ রয়েছে হোয়াটসঅ্যাপে। ধর্ষিতাকে সেক্স-টয় কিনে স্কাইপে ভিডিও-চ্যাট করার জন্য জোর দেওয়া হয়েছিল বলেও অভিযোগ। আর এ সব নিয়ে মুখ খুললে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে তার আপত্তিকর ভিডিও-ছবি পোস্ট করে দেওয়া হবে বলেও ছাত্রীটিকে হুমকি দিয়েছিল অভিযুক্তরা।