WhatsApp

হোয়াটসঅ্যাপের তথ্য-আশ্বাস, তবু ক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীরা

ভারতের খুচরো ব্যবসায়ী সংগঠন কনফেডারেশন অব অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্স (সিএআইটি) কেন্দ্রের কাছে দাবি জানিয়েছে, নরেন্দ্র মোদী সরকার হোয়াটসঅ্যাপকে নীতি বদল থেকে বিরত করুক অথবা হোয়াটসঅ্যাপ ও ফেসবুককে নিষিদ্ধ করা হোক।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১১ জানুয়ারি ২০২১ ০৩:১২
Share:

প্রতীকী ছবি।

হোয়াটসঅ্যাপের নীতি বদলের সিদ্ধান্তে ব্যক্তিগত তথ্যের গোপনীয়তা আরও আলগা হবে বলে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে। এই আবহে হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষ আশ্বস্ত করলেন, ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা আগের মতোই সুরক্ষিত থাকবে। হোয়াটসঅ্যাপের প্রধান ইউল ক্যাথকার্ট গত কাল পর পর বেশ কয়েকটি টুইট করে জানিয়েছেন, হোয়াটসঅ্যাপের তথ্য ফেসবুক পাবে বলে যে চর্চা শুরু হয়েছে, তা সত্যি নয়। এর মধ্যেই ভারতের খুচরো ব্যবসায়ী সংগঠন কনফেডারেশন অব অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্স (সিএআইটি) কেন্দ্রের কাছে দাবি জানিয়েছে, নরেন্দ্র মোদী সরকার হোয়াটসঅ্যাপকে নীতি বদল থেকে বিরত করুক অথবা হোয়াটসঅ্যাপ ও ফেসবুককে নিষিদ্ধ করা হোক।

Advertisement

গত সপ্তাহ থেকে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীরা স্ক্রিন জোড়া যে বিজ্ঞপ্তিটি পাচ্ছেন, তাতে বলা হচ্ছে, হোয়াটসঅ্যাপ তার শর্ত ও গোপনীয়তার নীতি বদল করেছে। ওই বিজ্ঞপ্তির সূত্র ধরেই জল্পনা শুরু হয়েছে হোয়াটসঅ্যাপের তথ্য ফেসবুকও পাবে। এই আবহেই সংস্থার অবস্থান স্পষ্ট করতে ময়দানে নামেন ক্যাথকার্ট। হোয়াটসঅ্যাপ প্রধান লিখেছেন, ‘‘বিশ্বে ২০০ কোটি মানুষ হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করেন। তাঁদের প্রত্যেকের আলাপচারিতা গোপনীয় রাখার ব্যাপারে হোয়াটসঅ্যাপ দায়বদ্ধ। আপনারা প্রিয়জনেদের সঙ্গে যে বার্তা আদানপ্রদান করছেন এবং হোয়াটসঅ্যাপ কলের মাধ্যমে যে কথাবার্তা বলছেন, তা আপনাদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে। এ বিষয়ে আমাদের নীতিতে কোনও বদল আসছে না।’’ একই সঙ্গে তাঁর আশ্বাস, ‘‘এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশনের ফলে ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত কল ও মেজেস আমরা দেখতে ও জানতে পারি না। ফেসবুক এ সংক্রান্ত কোনও তথ্য পাচ্ছে না।’’

স্বচ্ছতার দিকটিকে গুরুত্ব দিয়েই নীতিতে কিছু বদল আনা হয়েছে বলে দাবি করেছেন ক্যাথকার্ট। তাঁর টুইট, ‘‘ফেসবুকের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপের তথ্য আদানপ্রদানের বিষয়ের নীতিতে বদল আনা হয়নি। হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীরা তাঁদের বন্ধু ও পরিজনের সঙ্গে যে কথোপকথন চালাচ্ছেন, তার উপর এই নয়া নীতি প্রভাব ফেলবে না।’’ ক্যাথকার্টের সংযোজন, ‘‘অনেকেই জানেন না, হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে বিশ্বে কী ভাবে বাণিজ্যিক কার্যকলাপ চলে। প্রতিদিন বাণিজ্যিক বিষয়ক কথাবার্তা চালান ১৭ কোটি ৫০ লক্ষের বেশি হোয়াসটঅ্যাপ ব্যবহারকারী।’’ হোয়াটসঅ্যাপের নয়া নীতি কার্যকর হবে আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে। হোয়াটসঅ্যাপ প্রধানের আশ্বাসের পরেও এই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে, নীতি বদলের পরেও ব্যক্তিগত তথ্যের গোপনীয়তা সত্যিই কি সুরক্ষিত থাকবে? নাকি বিতর্কের মুখে পড়ে স্রেফ আশ্বাসই দিলেন ক্যাথকার্ট?

Advertisement

হোয়াটসঅ্যাপের এই পদক্ষেপে ক্ষুব্ধ সিএআইটি চিঠি দিয়েছে কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদকে। তাতে তারা বলেছে, ‘‘নতুন নীতি কার্যকর হলে ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য, আর্থিক লেনদেন-সহ যাবতীয় তথ্য হোয়াটসঅ্যাপের কাছে চলে যাবে। কেন্দ্রের অবিলম্বে উচিত হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষকে নয়া নীতি চালু করা থেকে বিরত করা অথবা হোয়াটসঅ্যাপ ও ফেসবুককে নিষিদ্ধ করা।’’ সংগঠনের মহাসচিব প্রবীণ খাণ্ডেরওয়ালের দাবি, ‘‘হোয়াটসঅ্যাপের এই নীতি বদল মানুষের ব্যক্তিজীবনে অনধিকার প্রবেশের শামিল। যা কিনা দেশের সংবিধান-বিরোধী। সিএআইটি দাবি করছে, সরকার অবিলম্বে হস্তক্ষেপ করুক।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement