‘পরীক্ষা পে চর্চা’-র সপ্তম সংস্করণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ছবি: পিটিআই।
পাশে বসে থাকা বন্ধু নয়, ভাল নম্বর পাওয়ার প্রশ্নে লড়াই হোক নিজের সঙ্গে। ‘পরীক্ষা পে চর্চা’-র সপ্তম সংস্করণে এমনই পরামর্শ দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। যা দেখে রাজনীতির অনেকে বলেছেন, পডুয়াদের মতোই আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে আরও ভাল ফল করার ইঙ্গিত দিলেন প্রধানমন্ত্রী। যিনি গত বার তিনশোর বেশি আসন জয় করেছিলেন। যাঁর আগামী লক্ষ্য হতে চলেছে চারশো আসন জিতে ক্ষমতায় ফেরা।
পড়াশোনার চাপ নিতে না পেরে ফি বছর আত্মহত্যা করতে বাধ্য হন বহু পড়ুয়া। আজই রাজস্থানের কোটায় জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার চাপ নিতে না পেরে আত্মঘাতী হয়েছেন এক ছাত্রী। এই আবহে আজদিল্লির ভারত মণ্ডপমে হওয়া ওই আলোচনা চক্রে ছেলে-মেয়েদের উপরে অযথা চাপ দেওয়ার জন্য মূলত বাবা-মাকেই দায়ী করেন মোদী। তিনি বলেন, ‘‘শিশু মনে ছোট থেকেই তুলনার বিষয়টি ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। আমি অভিভাবকদের অনুরোধ করছি অন্যের সন্তানের সাফল্যের সঙ্গে নিজের সন্তানের তুলনা করা বন্ধ করুন।’’ মোদীর মতে, এক জন পড়ুয়াকে তিন ধরনের চাপের মোকাবিলা করতে হয়। বন্ধুবান্ধব, বাবা-মা এবং নিজের। মোদীর মতে, এ ধরনের চাপের ফলে কখনই কাঙ্ক্ষিত ফল লাভ করা যায় না।
অন্যদের সঙ্গে তুলনার পরিবর্তে তিনি পড়ুয়াদের নিজের সঙ্গে নিজেকে লড়াই করা, নিজের ফলাফলকে ছাপিয়ে যাওয়ার জন্য প্রেরণা দেন। মোদীর কথায়, ‘‘এক জন পরীক্ষায় যদি ৯০ পায়, তাহলে কি অন্য পড়ুয়ার কাছে দশ নম্বর পড়ে থাকে? না। প্রত্যেকের কাছে একশো নম্বরের জন্য লড়াই করার জন্য ময়দান খোলা থাকে। যার অর্থ, প্রত্যেকের ভাল ফল করার সুযোগ রয়েছে। সে জন্য ধাপে ধাপে প্রস্তুতি নিয়ে এগোনো কাম্য। এতে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ফলও ভাল হয়।’’ রাজনীতিকদের একাংশের মতে, সামনেই লোকসভা নির্বাচন। পরীক্ষায় বসতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং। গত বারে তিনশোর বেশি আসন পেয়েছিল তাঁর দল। এ বার লক্ষ্য চারশো পার। রাজনীতিকদের একাংশের মতে, তিনিও যে ধাপে ধাপে নিজের ফল ভাল করার লক্ষ্যে এগোচ্ছেন সে কথাই হয়তো আজ বোঝাতে চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।