—ফাইল চিত্র।
ধর্ষণের অভিযোগ জানাতে বি এস ইয়েদুরাপ্পার কাছে এসেছিল সাড়ে ছ’বছরের এক বালিকা। অভিযোগ, সেই অভিযোগ শোনার নামে তাঁকে ঘরে ঢুকিয়ে দরজা বন্ধ করে দেন কর্নাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। পুলিশকে ওই বালিকার মা জানিয়েছেন, দরজার আড়ালে শিশুটিকে ‘নিগ্রহ’ করেন ইয়েদুরাপ্পা। পরে শিশুটির হাতে টাকাও গুঁজে দেন তিনি। কর্নাটকের বিজেপি নেতা তথা রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে পুলিশের চার্জশিটের ছত্রে ছত্রে লেখা রয়েছে এই ঘটনার বিবরণ।
পকসো মামলায় অভিযুক্ত ইয়েদুরাপ্পা শুক্রবারেই কর্নাটক হাই কোর্টে গিয়েছেন পকসো আইন প্রত্যাহারের আর্জি নিয়ে। আবার শুক্রবারেই বিশেষ আদালতে ইয়েদুরাপ্পার বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করেছে পুলিশ। সেই চার্জশিটের বয়ানেই প্রকাশ্যে এসেছে নির্যাতিতার মায়ের কথায় ঘটনার বিবরণ। তাতে বলা হয়েছে, ইয়েদুরাপ্পা বাঁ হাতে ওই বালিকার ডান হাতটি ধরে টানতে টানতে মিটিং রুমে নিয়ে যান। যে ঘরে মেয়েটি মায়ের সঙ্গে এসে বিজেপি নেতার সঙ্গে দেখা করেছিল, সেই ঘরের লাগোয়া মিটিং রুমটি। ঘরে ঢুকে ভিতর থেকে দরজা বন্ধ করে দেন ইয়েদুরাপ্পা।
শিশুটির মায়ের অভিযোগ, ঘরের ভিতরে মেয়েটিকে ইয়েদুরাপ্পা জিজ্ঞাসা করেন, যিনি তাকে ধর্ষণ করেছেন, তাঁকে সে দেখলে চিনতে পারবে কি না। জবাবে মেয়েটি জানিয়েছিল, সে চিনতে পারবে। কিন্তু ওই জবাব সম্ভবত পছন্দ হয়নি বিজেপি নেতার। শোনামাত্র তিনি মেয়েটিকে ধাক্কা মারেন এবং শারীরিক নির্যাতন করেন। পরে ঘর থেকে বেরোনোর সময় মেয়েটির হাতে টাকা গুঁজে দেন। আরও পরে তার মাকেও টাকা দেন ইয়েদুরাপ্পা।
পুলিশের চার্জশিটে বলা হয়েছে, এর পরে ফেসবুকে ওই ঘটনার ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসার পরে গত ২০ ফেব্রুয়ারি ইয়েদুরাপ্পা মেয়েটির মাকে ডেকে পাঠিয়ে ওই ভিডিয়ো মুছে ফেলতে বলেন। ২ লক্ষ টাকাও দেন। গত মার্চ মাসে ৮১ বছরের ইয়েদুরাপ্পার বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা করেন ওই মহিলা।