‘তুলসীদাস প্রণাম’— বিহারের কলা বিভাগের প্রথমা রুবি রাইকে যখন পরীক্ষকরা তুলসীদাসের উপর একটি প্রবন্ধ লিখতে বলেন, এই উত্তরটাই সাদা খাতায় লিখেছিলেন রুবি। পরীক্ষকরা যখন এ বিষয়ে তাঁকে আরও কিছু লিখতে বললেও এর বেশি কিছু লিখতে পারেননি। বিশেষজ্ঞ পরীক্ষকরা জানিয়েছেন, এ বছরের বোর্ডের পরীক্ষায় তুলসীদাসের উপর এই প্রশ্নটিই ছিল। রুবির খাতা পরীক্ষা করে দেখা যায় তিনি যথেষ্ট ভালই লিখেছিলেন। কিন্তু সেই প্রশ্নই যখন শনিবারের পরীক্ষায় দেওয়া হল, শুধু তুলসীদাস প্রণাম লিখেই ছেড়ে দেন রুবি! পরীক্ষকরাও অবাক হয়ে যান। রুবি পরীক্ষকদের এটাও দাবি করেন, পরীক্ষার জন্য তিনি দু’বছর ধরে পড়েছেন, পরীক্ষাও দিয়েছেন। তিন মাস হয়ে গিয়েছে পরীক্ষার, তাই এ বিষয়ে তাঁর আর কিছু মনে নেই। বিহার বিদ্যালয় পরীক্ষা সমিতির দফতরে দু’ঘণ্টা ধরে পরীক্ষা নেওয়া হয় রুবির। বিশেষজ্ঞ কমিটি জানায়, কলা বিভাগের বিষয় নিয়ে প্রাথমিক জ্ঞানটুকুও নেই রুবির। বোর্ড প্রধান আনন্দ কিশোর জানান, বিশেষজ্ঞ কমিটির মতে প্রথম হওয়ার যোগ্যতাই নেই রুবির মধ্যে। রুবির পরীক্ষার খাতার ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে। যাচাই করে দেখা হবে রুবি কি আদৌ পরীক্ষা দিয়েছিলেন, নাকি তাঁর হয়ে কেউ পরীক্ষায় বসেছিল।
বিহারের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার রেজাল্ট বেরনোর পর দেখা যায় বৈশালী জেলার ভগবানপুরের বিষুণ রায় কলেজের ছাত্রী রুবি প্রথম হয়েছেন। পলিটিক্যাল সায়েন্সকে ‘প্রডিক্যাল সায়েন্স’ বলে গোটা দেশে সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন তিনি। এর পরেই নড়েচড়ে বসে বিহার সরকার। গত ৩ জুন সাক্ষাৎকারের জন্য মেধাতালিকায় থাকা অন্য পড়ুয়াদের সঙ্গে রুবিকেও সমিতির দফতরে ডাকা হয়েছিল। সে দিন অসুস্থতার জন্য হাজির হননি তিনি। ফের তাঁকে ১৭ জুন ডাকা হয়। সে দিনও আসেননি। তৃতীয় বার ডাকার পরে এ দিন হাজিরা দেন রুবি।
আরও খবর...