প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
কোটি কোটি টাকার তিমির বমি বাজেয়াপ্ত হল মহারাষ্ট্রের ঠাণেতে। তিমির বমি বেশ মূল্যবান। সেই বমির চোরাচালান হচ্ছিল। সেই সময়েই তিমির সাড়ে ৫ কেজি বমি-সহ তিন পাচারকারীকে গ্রেফতার করে ঠাণে পুলিশের অপরাধদমন শাখা।
পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতেরা হলেন অনিল ভোঁসলে, অঙ্কুশ শঙ্কর এবং লক্ষ্মণ শঙ্কর পাটিল। গোপন সূত্রে পুলিশ খবর পায়, কয়েক কোটি টাকার তিমির বমি পাচার করা হচ্ছে। সেই খবর পেয়েই রাস্তায় নাকাতল্লাশি চালাচ্ছিল পুলিশ। সেই অভিযান চালানোর সময় পাইপলাইন রোড ধরে বদলাপুরগামী একটি গাড়ি দেখে সন্দেহ হয় পুলিশের। গাড়িটিকে আটক করে তারা।
তল্লাশি চালানোর সময় গাড়ির ভিতরে একটি ব্যাগ থেকে ৫ কেজি ৬০০ গ্রামের মতো তিমির বমি উদ্ধার হয়। যার বাজারদর ৬ কোটি ২০ লক্ষ টাকা। তিমির বমিকে অ্যাম্বারগ্রিস বলে। এটি তিমির শরীর থেকে বেরিয়ে আসা বর্জ্য পদার্থ। ধূসর বা কালো রঙের এই পদার্থটি পাথরের মতো শক্ত। সুন্ধি তৈরিতে ব্যবহৃত হয় অ্যাম্বারগ্রিস। এ ছাড়াও ওষুধ তৈরি এবং যৌন সমস্যার চিতিৎসাতেও ব্যবহৃত হয় তিমির বমি। তাই এই বমির দাম অনেক বেশি। বিজ্ঞানীরা এটিকে ‘ভাসমান সোনা’ বলে থাকেন।