পরিবেশ গড়ে তোলা এবং যাতায়াতের সুবন্দোবস্ত— এই দুই বিভাগে যথাক্রমে তৃতীয় ও দ্বিতীয় স্থান পেয়েছে রাজ্যের এই শহর। —ফাইল চিত্র।
দেশের স্মার্ট সিটিগুলির মধ্যে প্রতিযোগিতায় দু’টি পুরস্কার দখল করে নিল পশ্চিমবঙ্গের নিউ টাউন। পরিবেশ গড়ে তোলা এবং যাতায়াতের সুবন্দোবস্ত— এই দুই বিভাগে যথাক্রমে তৃতীয় ও দ্বিতীয় স্থান পেয়েছে রাজ্যের এই শহর। সেরা স্মার্ট সিটি নির্বাচিত হয়েছে মধ্যপ্রদেশের ইন্দোর। তার পরে রয়েছে যথাক্রমে গুজরাতের সুরাত এবং উত্তরপ্রদেশের আগরা।
কেন্দ্রীয় আবাসন ও নগর বিষয়ক মন্ত্রকের ‘ইন্ডিয়া স্মার্ট সিটিজ় অ্যাওয়ার্ড কনটেস্ট’ (আইএসএসি)-এর ২০২২ সালের ফলাফল গতকাল প্রকাশিত হয়েছে। আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু পুরস্কার তুলে দেবেন সংশ্লিষ্ট শহরের প্রতিনিধির হাতে। ‘নিম বনানী’ পার্ক এবং গাছগাছালি ঘেরা প্রচুর খোলা জায়গা তৈরির জন্য ‘পরিবেশ গড়ে তোলা’ বিভাগে যুগ্ম ভাবে তৃতীয় হয়েছে নিউ টাউন। আর মোটরচালিত যানের উপরে নির্ভরতা কমানোয় উৎসাহ দেওয়ার জন্য ‘যাতায়াতের সুবন্দোবস্ত’ বিভাগে দ্বিতীয় হয়েছে।
২০১৫ সালে শুরু হওয়া ‘স্মার্ট সিটি মিশন’-এ দৃষ্টান্তমূলক কাজের জন্য রাজ্যগুলির মধ্যে শীর্ষে মধ্যপ্রদেশ। তার পরে রয়েছে তামিলনাড়ু, রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ। কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির মধ্যে সেরার শিরোপা পেয়েছে চণ্ডীগড়।
২০১৫ সালের ২৫ জুন ‘স্মার্ট সিটি মিশন’ শুরু। ২০১৮, ২০১৯ এবং ২০২০ সালের পরে এ বার ছিল চতুর্থ প্রতিযোগিতা। কোভিডের জন্য ২০২১ সালে স্থগিত রাখা হয় প্রতিযোগিতা। গত বছর এপ্রিলে সুরাতে ‘স্মার্ট সিটিজ়, স্মার্ট আরবানাইজ়েশন’ অনুষ্ঠান দিয়ে এ বারের প্রতিযোগিতা শুরু হয়।
প্রতিযোগিতায় ৮০টি স্মার্ট সিটি থেকে মোট ৮৪৫টি মনোনয়ন জমা পড়েছিল। চারটি পর্যায়ে বাছাইয়ের পরে প্রতিটি বিভাগে পুরস্কারপ্রাপক শহরগুলির নাম ঘোষণা করা হয়েছে।
‘পরিবেশ গড়ে তোলা’ বিভাগে প্রথম কোয়েম্বত্তূর। রাস্তাঘাট এবং জলাশয় বাঁচিয়ে তোলার জন্য। আর দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ইন্দোর, নদীর তীরের উন্নতির জন্য। তৃতীয় স্থানে নিউ টাউনের সঙ্গেই রয়েছে কানপুর। পালিকা স্পোর্টস স্টেডিয়ামের আধুনিকীকরণ এবং সংস্কারের জন্য।
যাতায়াতের সুবন্দোবস্ত বিভাগে শীর্ষে চণ্ডীগড়। সাইকেলের ট্র্যাক এবং ‘বাইক শেয়ারিং’-এর জন্য। এর পরেই রয়েছে নিউ টাউন। তৃতীয় স্থানে মধ্যপ্রদেশের সাগর। আধুনিক এবং সুরক্ষিত ট্র্যাফিক সিগন্যালিং ব্যবস্থা চালুর জন্য।
সংস্কৃতি বিভাগে শ্রেষ্ঠ শহর আমদাবাদ। পর্যটনে ঐতিহ্য এবং প্রযুক্তির মেলবন্ধন ঘটিয়ে শীর্ষ স্থান দখল করেছে গুজরাতের এই শহর। ‘ইনকিউবেশন সেন্টার’ তৈরির জন্য অর্থনীতি বিভাগে সেরা মধ্যপ্রদেশের জবলপুর। ‘ই-গভর্ন্যান্স সার্ভিস’-এর জন্য প্রশাসন বিভাগে শীর্ষে চণ্ডীগড়। ‘নিকাশি’ বিভাগে প্রথম ইন্দোর।