Delhi Police

বঙ্গভবনে অনুপ্রবেশ, পুলিশে নালিশ রাজ্যের

সোমবারই মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘিতে এক সভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লির রাজ্য সরকারি অতিথিশালা বঙ্গভবন থেকে তৃণমূলের নেতা সাকেত গোখলেকে গ্রেফতার নিয়ে আপত্তি তুলেছিলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি ও কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ জানুয়ারি ২০২৩ ০৮:৪৭
Share:

রাজ্য প্রশাসন সূত্রের খবর, এ বিষয়ে অমিত শাহের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে চিঠি লিখে অভিযোগ জানানোর কথাও ভাবা হচ্ছে। প্রতীকী ছবি।

দিল্লি পুলিশের কাছে গুজরাত পুলিশ ও দিল্লি পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। বঙ্গভবনে আগাম অনুমতি না নিয়ে ঢুকে পড়া এবং তার পরে সিসিটিভি ফুটেজ নষ্ট করার অভিযোগ জানিয়ে দিল্লির চাণক্যপুরী থানায় এই অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। রাজ্য প্রশাসন সূত্রের খবর, এ বিষয়ে অমিত শাহের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে চিঠি লিখে অভিযোগ জানানোর কথাও ভাবা হচ্ছে। কারণ দিল্লি পুলিশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকেরই অধীন।

Advertisement

সোমবারই মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘিতে এক সভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লির রাজ্য সরকারি অতিথিশালা বঙ্গভবন থেকে তৃণমূলের নেতা সাকেত গোখলেকে গ্রেফতার নিয়ে আপত্তি তুলেছিলেন। ওই গ্রেফতারির পরে দিল্লি পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে গুজরাত পুলিশ বঙ্গভবনে গিয়ে সিসিটিভি ফুটেজ নিয়ে চলে গিয়েছে বলেও অভিযোগ তোলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর যুক্তি ছিল, বঙ্গভবন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সম্পত্তি। অনুমতি ছাড়া কেউ সেখানে গেলে রাজ্য সরকারকেও ব্যবস্থা নিতে হবে। অনুমতি ছাড়াই দিল্লি পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে গুজরাত পুলিশ বঙ্গভবনে গিয়ে সিসিটিভি ফুটেজ নিয়ে গিয়েছে। বঙ্গভবনে অনেক সময় তিনি ছাড়াও রাজ্যপাল, হাই কোর্টের বিচারপতিরা থাকেন বলেও মনে করিয়ে দিয়েছিলেন মমতা।

সরকারি সূত্রের বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রীর এই অভিযোগের পরেই দিল্লির চাণক্যপুরী থানায় রাজ্য সরকারের তরফে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। দিল্লিতে নিযুক্ত রেসিডেন্ট কমিশনারের কাছেও রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। দিল্লি পুলিশের অবশ্য দাবি, এ বিষয়ে তাদের কোনও ভূমিকা নেই। দিল্লি পুলিশের মুখপাত্র ডেপুটি কমিশনার সুমন নালওয়া বলেন, ‘‘দিল্লি পুলিশ শুধুমাত্র আইন অনুযায়ী গুজরাত পুলিশকে সাহায্য করেছিল। দিল্লি পুলিশ নিজে কোনও পদক্ষেপ করেনি।’’

Advertisement

তৃণমূল সূত্রের অভিযোগ, গত ২৯ ডিসেম্বর রাতে সাকেত গোখলেকে দিল্লির চাণক্যপুরীর বঙ্গভবন থেকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ স্থানীয় নিরাপত্তা কর্মীদের রীতিমতো ধমকায়। পরে বঙ্গভবন থেকে ওই সময়ের সিসিটিভি ফুটেজ মুছে দেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তা কর্মীদের ধমকে, কার্যত বলপ্রয়োগ করে সাকেতকে গ্রেফতারের প্রমাণ পুলিশ রাখতে চায়নি। ফলে রাজ্য সরকার বেআইনি অনুপ্রবেশের অভিযোগ করলেও ফুটেজের অভাবে তা প্রমাণ করা শক্ত হয়ে দাঁড়াবে।

সাকেতকে এই নিয়ে তৃতীয় বার গ্রেফতার করেছে গুজরাত পুলিশ। প্রথমে মিথ্যে খবর ছড়ানোর অভিযোগে দু’বার গ্রেফতার করা হয়েছিল। গুজরাত পুলিশের বক্তব্য, তৃতীয় বার তাঁকে সমাজসেবার নামে মানুষের থেকে প্রায় ৭২ লক্ষ টাকা জোগাড় করে নিজের ব্যক্তিগত খরচে কাজে লাগানোর অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযোগ গুরুতর বলে গত সপ্তাহে গুজরাতের আদালত সাকেতের জামিনের আবেদনও খারিজ করে দিয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement