Mamata Banerjee

‘ধর্মাবতার, দেশকে বাঁচান’! মুখ্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের বিল নিয়ে উদ্বিগ্ন মমতা

নয়া বিল অনুযায়ী, মুখ্য নির্বাচন কমিশনার-সহ বিভিন্ন নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগের ক্ষমতা থাকছে দেশের প্রধানমন্ত্রী, লোকসভার বিরোধী দলনেতা এবং প্রধানমন্ত্রী মনোনীত এক মন্ত্রীর হাতে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ অগস্ট ২০২৩ ১৪:০১
Share:

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।

মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের নিয়োগের প্যানেলে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির ‘গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা’ রয়েছে। তা সত্ত্বেও কেন্দ্রীয় সরকারের নয়া বিলে সে কমিটিতে শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতিকে রাখা হয়নি। কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকারের এই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করে শনিবার টুইট করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সঙ্গে বিচারবিভাগের প্রতি তাঁর আর্জি, ‘‘আমাদের দেশকে বাঁচান!’’

Advertisement

নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চের নির্দেশ উপেক্ষা করে সংসদে বিল আনছে কেন্দ্র। ‘দ্য চিফ ইলেকশন কমিশনার অ্যান্ড আদার ইলেকশন কমিশনার্স (অ্যাপয়েন্টমেন্ট, কন্ডিশন অফ সার্ভিসেস অ্যান্ড টার্ম অফ অফিস) বিল, ২০১৩’ নামে ওই নয়া বিলে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের প্যানেলে দেশের প্রধান বিচারপতির নাম থাকছে না। প্রস্তাবিত বিলে তাঁর পরিবর্তে এক ক্যাবিনেট মন্ত্রীকে রাখা হয়েছে। বিল অনুযায়ী, মুখ্য নির্বাচন কমিশনার-সহ বিভিন্ন নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগের ক্ষমতা থাকছে দেশের প্রধানমন্ত্রী, লোকসভার বিরোধী দলনেতা এবং প্রধানমন্ত্রী মনোনীত এক মন্ত্রীর হাতে।

রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের অভিযোগ, এই বিলের মাধ্যমে আসলে নির্বাচন কমিশনের উপর নিজের কর্তৃত্ব কায়েম করতে চাইছে বিজেপি। শনিবার দুপুরে টুইটে মমতা লিখেছেন, ‘‘বিচারবিভাগের কাছে মাথা নত করার পরিবর্তে নৈরাজ্যের কাছে মাথা নত করছে বিজেপি! মুখ্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের জন্য তিন সদস্যের কমিটিতে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের নির্বাচনের ক্ষেত্রে তাঁর (সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি) পরিবর্তে এক ক্যাবিনেট মন্ত্রীকে আনার সিদ্ধান্তের ঘোরতর বিরোধিতা করছি আমরা। বিচারবিভাগকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করার বিরুদ্ধে গোটা দেশের প্রশ্ন তোলা উচিত। বিচারবিভাগকে কি মন্ত্রীচালিত ক্যাঙারু কোর্টে পরিণত করতে চায় ওরা? ভারতের জন্য বিচারবিভাগের কাছে প্রার্থনা করি। ধর্মাবতার, আমাদের দেশকে রক্ষা করুন!’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement