ছাঙ্গুতে তুষারপাত। —নিজস্ব চিত্র।
মেঘলা আকাশ আর ঠান্ডা হাওয়া তো ছিলই, তার সঙ্গে জুড়েছে বৃষ্টি। সব মিলিয়ে শীতের পাহাড়কে যে রূপে দেখতে চান মানুষ, অনেকটা তেমন করেই ধরা দিয়েছে দার্জিলিং এবং সিকিমের বিস্তীর্ণ অংশ। পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাবে এখন আরও শীতকাতুরে হয়ে উঠেছে পাহাড়।
পূর্বভাস মতো পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাবে বুধবার থেকেই সিকিমের বিস্তীর্ণ এলাকায় প্রবল বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাবে দার্জিলিং তো বটেই সিকিমের লাভা, ছাঙ্গু লেক, নাথুলা পাসের উপরেও আকাশের মুখ ভার। একসঙ্গে অনেকটাই নেমে গিয়েছে তাপমাত্রা। কোথাও কোথাও তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নীচে নেমে গিয়েছে। যেমন, বৃহস্পতিবার নাথুলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল মাইনাস ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ছাঙ্গুতে মাইনাস ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নীচে নেমে যাওয়ায় তুষারপাত শুরু হয়েছে সিকিমের ছাঙ্গু লেক, নাথুলা-সহ বিস্তীর্ণ এলাকায়।
আবহাওয়া দফতর সূত্রের খবর, সিকিমের পাশাপাশি দার্জিলিং, লাভাতেও আকাশ শুক্রবার দিনভর মেঘলা রয়েছে। বৃহস্পতিবার দার্জিলিঙের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শনি এবং রবিবার বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে এই অঞ্চলগুলোতে। অন্যদিকে, ছাঙ্গুর তাপমাত্রা আরও কমতে পারে বলে মনে করছেন আবহবিদেরা। নাথুলা এবং ছাঙ্গুর আবহাওয়া আগামী বুধবার পর্যন্ত মেঘলা থাকারই সম্ভাবনা রয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকে মেঘ সরে রোদ্দুর দেখা দিতে পারে। তবে এই মুহূর্তে ছাঙ্গুর পথ ঢেকে গিয়েছে বরফের চাদরে। নাথুলারও একই অবস্থা। ফলে ছাঙ্গু এবং নাথুলায় বরফ পড়ার দৃশ্য দেখতে পর্যটকরা যেতে চাইলেও রাস্তা বরফে ঢেকে আরও বিপদসঙ্কুল হয়ে গিয়েছে। ফলে বাছাই করা পর্যটকদের কয়েকটি গাড়ি সেই রাস্তায় যাওয়ার অনুমতি পাচ্ছে। সেনা পাহারায় পর্যটকদের গাড়িগুলো যাতায়াত করছে। গ্যাংটকের তাপমাত্রাও ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমেছে। বৃহস্পতিবারও গ্যাংটকে কয়েক পশলা বৃষ্টি হয়েছে।
অ্যানিমেশন: শৌভিক দেবনাথ।
পাহাড়ের আকাশে পশ্চিমী ঝঞ্ঝার উপস্থিতির রেশ পড়েছে সমতলেও। শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি, সুকনা, চম্পাসারি, ইস্টার্ন বাইপাস, ফুলবাড়ি এলাকায় ভোরের দিকে কুয়াশার চাদরের আড়ালে চলে গিয়েছিল রাস্তাঘাট। এখনও দিনভর আকাশ মেঘলা রয়েছে এই এলাকাগুলোতে।
আরও পড়ুন: গজ তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড তামিলনাড়ুর উপকূল, মৃত অন্তত ১৫