নরেন্দ্র মোদী। ফাইল চিত্র
ঠিক ছিল, দ্বিতীয় ইনিংসের প্রথম বছর পূর্তিতে জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা রদ করা ও নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনই প্রধান সাফল্য হিসেবে তুলে ধরা হবে। সব হিসেব বদলে দিয়েছে করোনাভাইরাস। এখন লকডাউন জারি করে করোনা-সঙ্কট সামাল দেওয়া এবং অর্থনীতিতে লকডাউনের ধাক্কা সামলাতে আর্থিক প্যাকেজ নিয়েই নরেন্দ্র মোদী সরকার প্রচারে নামছে।
দ্বিতীয় দফার মোদী সরকারের এক বছর পূর্ণ হচ্ছে ৩০ মে। লকডাউনের জন্য মাঠে নেমে ঢাকঢোল পেটানো সম্ভব নয়। তাই যত বেশি সম্ভব নেট-দুনিয়াতেই প্রচারের পরিকল্পনা চলছে। এবং নেট-দুনিয়াতেই বাঁধছে যুদ্ধ। সরকারের বর্ষপূর্তির ঠিক দু’দিন আগে কংগ্রেস অনলাইন প্রচারে নামছে। সভানেত্রী সনিয়া গাঁধীর নির্দেশ, ২৮ মে কংগ্রেস করোনা-সঙ্কটের জেরে শ্রমিক, কৃষক, ছোট-মাঝারি শিল্পের সমস্যার কথা তুলে ধরবে। সরকারের কাছে কংগ্রেসের দাবি, আয়কর সীমার বাইরে থাকা প্রত্যেক পরিবারের জন্য ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হোক। এআইসিসি-তে সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত নেতা কে সি বেণুগোপাল আজ জানিয়েছেন, সমস্ত পদাধিকারী, নেতা, কর্মীর এই প্রচারে যোগ দেওয়া বাধ্যতামূলক। যে কোনও সোশ্যাল মিডিয়ায় মানুষের সমস্যা তুলে ধরতে হবে। কংগ্রেস নেতা বেণুগোপালের কথায়, ‘‘কয়েকশো কিলোমিটার হেঁটে লক্ষ লক্ষ নারী-পুরুষ যে ভাবে নিজেদের গ্রামে ফিরতে মরিয়া, তাতে দেশের আত্মা কেঁপে উঠেছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার উদাসীন। কোনও পদক্ষেপ করতেও ব্যর্থ।’’ কংগ্রেস চাইছে, অন্তত ৫০ লক্ষ কংগ্রেসের নেতা-কর্মী এই প্রচারে যোগ দিন।
মোদী সরকারও প্রচারের সব অস্ত্র মজুত করে ফেলেছে। সরকারি সূত্রের খবর, গত মাসেই ক্যাবিনেট সচিবালয় থেকে সমস্ত মন্ত্রককে তাদের গত এক বছরের সাফল্যের তালিকা চেয়ে পাঠানো হয়েছিল। গত সপ্তাহেই সেই তালিকা জমা পড়েছে। এ বার তথ্য-সম্প্রচার মন্ত্রক তা থেকে প্রচারের বিষয় তৈরি করছে। এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, ‘‘লকডাউন ও সামাজিক দূরত্ব মানতে কোনও অনুষ্ঠান হবে না। কিন্তু এক বছরের সাফল্য তুলে ধরার ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী যে ভাবে সামনে থেকে অতিমারির মোকাবিলা করেছেন এবং ২০ লক্ষ কোটি টাকার আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন, সেটাই এখন প্রধান বিষয়।’’