বোমা-বন্দুকের জবাব জওয়ানরা দেবেন। তবে একই সঙ্গে কথাও চলবে পাকিস্তানের সঙ্গে। তাঁর পাক-নীতি প্রসঙ্গে দোলাচল নিয়ে আজ সাফাই দিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী।
এক বেসরকারি টিভি চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে শান্তিই চায় ভারত। চায়, দু’দেশই দারিদ্রের মোকাবিলা করুক। কিন্তু ভারতের প্রতিটি বিষয় পাকিস্তানের সঙ্গে যুক্ত করে দেখা ঠিক নয়। তা ছাড়া, পাকিস্তানের সঙ্গে যে কোনও আলোচনার সময় ভারতের পক্ষে বোঝা কঠিন হয়ে যায় যে, কোথায় লক্ষ্মণরেখা টেনে কথাবার্তা বলতে হবে। সেই লক্ষ্মণরেখার মধ্যে কি শুধু সেখানকার নির্বাচিত সরকার থাকবে, নাকি অন্য কেউ? মোদীর যুক্তি, তাই ভারতকে সব সময় সজাগ থাকতে হয়। তবে একই সঙ্গে তিনি মনে করিয়ে দেন যে, সন্ত্রাসবাদ নিয়ে ভারতের অবস্থান এখন স্বীকার করে নিয়েছে দুনিয়া। পাকিস্তানই নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করতে পারেনি়।
প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে মোদী পাকিস্তান সম্পর্কে বলতেন, ‘‘বোমা -বন্দুকের আওয়াজে কি কথা শোনা যায়?’’ যার অর্থ, পাক সন্ত্রাস বন্ধ না হলে তাদের সঙ্গে আলোচনা উচিত নয়। কিন্তু নিজের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফকে আমন্ত্রণ জানান মোদী। তাতে অবশ্য সন্ত্রাস বন্ধ হয়নি। নওয়াজের জন্মদিনে লাহৌরেও যান মোদী। তারপরেই পঠানকোটের হামলা ঘটে। সদ্য জম্মু-কাশ্মীরের পাম্পোরেও হামলা হয়েছে। মোদী সরকারের পাক নীতি নিয়ে উঠতে-বসতে সমালোচনা করে বিরোধীরাও। আজও কংগ্রেসের কপিল সিব্বল সরকারকে এই নিয়ে তোপ দেগেছেন।
প্রধানমন্ত্রী আজ বলেন, যাদের টেবিলে বসে কাজ করতে হবে, তাঁরা টেবিলেই কাজ করবেন। যাঁদের সীমান্তে কাজ করতে হবে, তাঁরা পূর্ণ শক্তি দিয়ে সীমান্তে কাজ করবেন। প্রত্যেকের উপরে যা দায়িত্ব রয়েছে, তাঁরা সেটি পালন করবেন। তাঁর কথায়, ‘‘আমাদের জওয়ানরা সেই দায়িত্ব পালন করছেন। সন্ত্রাসবাদীদের বহু চেষ্টা বিফল হচ্ছে। ফলে তাদের হতাশা আরও বাড়ছে।’’