‘রাইসিনা আলোচনা’-য় বিপিন রাওয়ত। পিটিআই
নিউ ইয়র্ক ও ওয়াশিংটনে জঙ্গি হামলার পরে আমেরিকা যে ভাবে জঙ্গি গোষ্ঠীগুলির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করেছিল সে ভাবেই গোটা বিশ্বে পদক্ষেপ করা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করলেন চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ বিপিন রাওয়ত। ঘটনাচক্রে শ্রীনগরে বড় হামলা এড়ানো গিয়েছে বলে এ দিনই দাবি করেছে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ।
দিল্লিতে ‘রাইসিনা আলোচনা’ অনুষ্ঠানে চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ রাওয়ত বলেন, ‘‘সন্ত্রাস দমনে কঠোর পদক্ষেপ করা প্রয়োজন। যে ভাবে আমেরিকা ২০০১ সালের জঙ্গি হামলার পরে অভিযান চালিয়েছিল সে ভাবেই গোটা বিশ্বে পদক্ষেপ করা প্রয়োজন।’’ রাওয়তের বক্তব্য, ‘‘ যত দিন কোনও কোনও দেশ সন্ত্রাসে মদত দেবে তত দিন এই সমস্যা থাকবেই। তাই সন্ত্রাসের মূল উৎসে আঘাত হানা প্রয়োজন। যে সব দেশ সন্ত্রাসে মদত দেয় তারা সন্ত্রাস-বিরোধী লড়াইয়ের অঙ্গ হতে পারে না। তাদের কোণঠাসা করা প্রয়োজন।’’ রাওয়ত জানান, যারা মৌলবাদী প্রচারের শিকার হয়েছে তাদের জন্য আলাদা শিবির তৈরি হয়েছে ভারতে। তাঁর বক্তব্য, ‘‘কাশ্মীরে ১০-১২ বছর বয়সি ছেলেদেরও মধ্যেও মৌলবাদী প্রচার চলছে। তাদের এখনও মৌলবাদী প্রভাব থেকে মুক্ত করা সম্ভব। কিন্তু যারা পুরোপুরি মৌলবাদে প্রভাবিত হয়ে গিয়েছে তাদের আলাদা করা প্রয়োজন। তাদের জন্য আলাদা শিবিরের ব্যবস্থা করেছি আমরা। পাকিস্তানও একই পদক্ষেপ করেছে। কারণ, যে জঙ্গিদের তারা মদত দিয়েছিল তাদের অনেকে এখন পাকিস্তানেই আঘাত হানছে।’’ তাঁর মতে, সঠিক ব্যক্তিদের নিশানা করলে অনলাইনে মৌলবাদী প্রচারেরও মোকাবিলা করা সম্ভব।
ঘটনাচক্রে আজ পাঁচ জইশ জঙ্গির গ্রেফতারির খবর জানিয়েছে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ। তাদের দাবি, ওই পাঁচ জন প্রজাতন্ত্র দিবসের আগে শ্রীনগরে বড় বিস্ফোরণ ঘটানোর ছক কষেছিল। তাদের কাছ থেকে বিপুল বিস্ফোরকও পাওয়া গিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, এজাজ় আহমেদ শেখ, উমর হামিদ শেখ, ইমতিয়াজ আহমেদ চিকলা, সাহিল ফারুক গোজরি ও নাসির আহমেদ মির নামে ওই পাঁচ জঙ্গি শ্রীনগরের বাসিন্দা।