রায়বরেলির সভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া
রাফাল নিয়ে বিরোধীদের লাগাতার আক্রমণেও তিনি এতদিন ছিলেন মৌন। ক্লিন চিট দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। তার দু’দিনের মাথায় এমন জায়গায় কর্মসূচি, যেখানে টানা ২০ বছর ধরে সাংসদ সনিয়া গাঁধী। কংগ্রেসের শক্তি ঘাঁটি। আর সেই রায়বরেলিতে দাঁড়িয়েই রাফাল নিয়ে কার্যত ‘কার্পেট বম্বিং’ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বোফর্স, অগুস্তার প্রসঙ্গে টেনে মোদীর খোঁচা, ‘‘আমাদের কোনও কোয়াত্রোচ্চি বা মাইকেল মামা নেই।’’ শত্রুপক্ষের সঙ্গে হাত মেলানোর অভিযোগ তুলে কটাক্ষের সুরে বললেন, ‘‘কংগ্রেস নেতারা এখানে বিবৃতি দেন, আর পাকিস্তানে হাততালি পড়ে।’’
রবিবার রায়বরেলিতে ছিল সরকারি অনুষ্ঠান। রেল কোচ ফ্যাক্টরি পরিদর্শন ও হামসফর এক্সপ্রেসের উদ্বোধন। পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা ভোটে ভরাডুবির পর এটাই ছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রথম কর্মসূচি। যে কংগ্রেসের কাছে হিন্দি বলয়ের তিন রাজ্য খুইয়েছে বিজেপি, রাফাল ইস্যুতে সেই দলকেই কার্যত মিথ্যেবাদী বলে এলেন মোদী। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের প্রসঙ্গ টেনে তাঁর মন্তব্য, কংগ্রেস তাঁকে, এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রীকে কাঠগড়ায় তুলেছিল। কিন্তু তারা নিজেরাও জানত, ওটা ছিল ‘মিথ্যে অভিযোগ’।
একইসঙ্গে যোগ করেন, ‘‘ওরা যত খুশি মিথ্যে বলতে পারে। কিন্তু তাতে কিছু যায় আসে না। কংগ্রেস সব সময়ই আমাদের সেনাবাহিনীর প্রতি পক্ষপাতমূলক আচরণ করত। সেনা বিভাগের সংস্কার ও আধুনিকীকরণে দেরি করার জন্য ওদের দেশবাসী ক্ষমা করবে না।’’ কটাক্ষের ভঙ্গিতে বলেন ‘হাততালি’র প্রসঙ্গ।
আরও পড়ুন: ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন ভূপেশ বাঘেল, ঘোষণা কংগ্রেসের
রাফাল সামরিক চুক্তি। তা নিয়ে এখন যেমন সরগরম রাজধানীর রাজনীতি, তেমনই কংগ্রেস জমানায় অগুস্তা ওয়েস্টল্যান্ড এবং বোফর্স চুক্তি নিয়েও দেশ জুড়ে বিরূপ প্রতিক্রিয়া হয়েছিল। সেই প্রসঙ্গও টেনে এনে মোদী বলেন, আমরা ক্রিশ্চিয়ান মিশেলকে (অগুস্তা ওয়েস্টল্যান্ড চুক্তিতে অভিযুক্ত দালাল)। আমাদের সরকার দেশে নিয়ে এসেছে। আর এখন কংগ্রেসের আইনজীবীরা তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করছে। আমাদের কোনও কোয়াত্রোচি বা মাইকেল মামা নেই।’’
আরও পড়ুন: ‘দেশবাসীকে ভুল বুঝিয়েছেন রাহুল’, রাফাল নিয়ে ৭০ সাংবাদিক বৈঠক করে বোঝাবে বিজেপি
রায়বরেলির এই কোচ ফ্যাক্টরিতে কর্মসংস্থান নিয়েও এদিনের সভামঞ্চ থেকে আক্রমণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ২০০৭ সালে কারখানা তৈরির সময় পাঁচ হাজার চাকরির ঘোষণা করা হয়েছিল। ২০১৪ সালে তার অর্ধেক সংখ্যক পোস্টে নিয়োগের অনুমোদনও হয়েছিল। কিন্তু কারও চাকরি হয়নি। আর আজ রবিবার থেকে ২০০০ লোক কাজ শুরু করলেন এই কারখানায়। কংগ্রেস চায়নি নিয়োগ হোক, বলেন মোদী।
(ভারতের রাজনীতি, ভারতের অর্থনীতি- সব গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে আমাদের দেশ বিভাগে ক্লিক করুন।)