অরবিন্দ কেজরীবাল। ছবি: পিটিআই।
প্রতি দিন লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও। দিল্লিতে পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, হাসপাতালগুলোতে শয্যার অভাব দেখা দিয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের হিসেব অনুযায়ী, দিল্লিতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৭ হাজার ৩৮৬। মৃত্যু হয়েছে ৩৯৮ জনের। শুধু তাই নয়, গোটা দেশে সংক্রমণের নিরিখে মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ুর পরই রয়েছে দিল্লি। সবচেয়ে করোনা প্রভাবিত শহরগুলোর তালিকাতেও রয়েছে দিল্লির নাম। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়েও অরবিন্দ কেজরীবাল শনিবার দাবি করলেন, করোনার থেকে তাঁরা চার কদম এগিয়ে।
কেজরী এ দিন জানিয়েছেন, দীর্ঘস্থায়ী লকডাউনের পথে হাঁটবে না তাঁর সরকার। করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে এটা সমাধান নয় বলেই মনে করেন তিনি। এর পরই কেজরী বলেন, “এটা মানছি যে, দিল্লিতে করোনার সংক্রমণ বাড়ছে। কিন্তু এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।” তবে যে দু’টি বিষয় তাঁকে সবচেয়ে বেশি চিন্তায় রেখেছে তা হল— মৃত্যুর সংখ্যাবৃদ্ধি এবং হাসপাতালগুলোতে পর্যাপ্ত শয্যার অভাব।
এ প্রসঙ্গে কেজরী জানিয়েছেন, এক সপ্তাহের মধ্যেই ২১০০ বাড়তি শয্যার আয়োজন করেছে তাঁর সরকার। আগে কোভিড-১৯ রোগীদের জন্য সাড়ে ৪ হাজার শয্যা ছিল। এখন সেই সংখ্যাটা বেড়ে হয়েছে ৬৬০০। তবে আগামী সপ্তাহের মধ্যে এই সংখ্যাটা সাড়ে ৯ হাজারে নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানিয়েছেন কেজরী। পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে ইতিমধ্যেই বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে কোভিড রোগীদের জন্য ২০ শতাংশ শয্যা সংরক্ষিত রাখতে নির্দেশ দিয়েছে আম আদমির সরকার।