দিল্লিতে ক্ষমতার সর্বোচ্চ অলিন্দে সোমবার বার বার চর্চায় আসছে সন্দেশখালি।
পিএমও (প্রধানমন্ত্রীর দফতর) থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক— দিল্লিতে ক্ষমতার সর্বোচ্চ অলিন্দে সোমবার বার বার চর্চায় আসছে সন্দেশখালি। ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর কাছ থেকে সন্দেশখালির পরিস্থিতি সম্পর্কে বিশদে জেনে নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার আগে এ দিন সকালে অমিত শাহ-অজিত ডোভালদের বৈঠকেও পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি নিয়ে কথা হয়েছে বলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রের খবর। তাতেই শেষ হচ্ছে না চর্চা। মোদীর পরে অমিত শাহও কথা বলেন কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর সঙ্গে।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সোমবার রাজ্যপালের যে বৈঠক হল, তা পূর্বনির্ধারিতই ছিল। তবে সন্দেশখালি কাণ্ডের প্রেক্ষিতে সে বৈঠক বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে ওঠে। প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ রিপোর্ট নিতে পারেন বাংলার রাজ্যপালের কাছ থেকে— রবিবারই এমন সম্ভাবনার কথা ভাসতে শুরু করে।
রাজভবন সূত্রে সে বিষয়ে কোনও স্পষ্ট মন্তব্য করা হয়নি। কিন্তু রাজ্যপালের প্রেস সচিব মানব বন্দ্যোপাধ্যায় রবিবারই আনন্দবাজারকে জানিয়েছিলেন যে, প্রধানমন্ত্রী যদি রাজ্যপালের কাছে সন্দেশখালি সম্পর্কে কিছু জানতে চান, তা হলে রাজ্যপাল নিশ্চয়ই জানাবেন। সোমবার বৈঠকে ঢোকার আগে রাজ্যপাল নিজেও সে কথাই বলেন— প্রধানমন্ত্রী জানতে চাইলে নিশ্চয়ই জানাব।
আরও পড়ুন, দলীয় কর্মীদের খুনের প্রতিবাদে বসিরহাট বন্ধে দফায় দফায় রেল, রাস্তা অবরোধ বিজেপির
বৈঠক শেষ হওয়ার পরে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে, মোদী এবং কেশরীনাথের মধ্যে সন্দেশখালির পরিস্থিতি নিয়ে কথা হয়েছে। বৈঠক সেরে বেরিয়ে কেশরীনাথ বলেছেন, ‘‘মমতা যা বলছেন, বলুন। আমি যা বলার প্রধানমন্ত্রীকে বলেছি।’’
মুখোমুখি কেশরীনাথ ত্রিপাঠী এবং অমিত শাহ। ছবি: পিটিআই।
এ দিন সকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও একটি বৈঠক ডেকেছিলেন। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল তো বটেই, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান-সহ মন্ত্রকের অনেক পদস্থ কর্তাই সে বৈঠকে হাজির ছিলেন। দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা করতেই এই বৈঠক ডাকা হয়েছিল। আলোচনায় সন্দেশখালি কাণ্ড এবং পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে নির্বাচন পরবর্তী হিংসার প্রসঙ্গও উঠেছে বলে মন্ত্রক সূত্রের খবর। বাংলার পরিস্থিতির দিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সতর্ক নজর রাখছে।
আরও পড়ুন, ‘শয়তান ঢুকেছে’ সন্দেশখালিতে, আতঙ্কে পালাচ্ছে মানুষ
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যখন রাজ্যপালের বৈঠক হবে, তখন অমিত শাহকে সেখানে ডেকে নেওয়া হতে পারে— এমন সম্ভাবনার কথা রবিবার শোনা গিয়েছিল। কিন্তু স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের বৈঠকে শাহ ব্যস্ত থাকায় তেমনটা হয়নি। তবে অমিত শাহ নিজেও কেশরীনাথের সঙ্গে এ দিন কথা বলেছেন।
(দেশজোড়া ঘটনার বাছাই করা সেরা বাংলা খবর পেতে পড়ুন আমাদের দেশ বিভাগ। )
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের YouTube Channel - এ।