বিপ্লব দেব। ফাইল চিত্র।
তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল রাজ্যে গণপিটুনির মতো ঘটনা নিয়ে সরকার কী ভাবছে। উত্তরে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী যা বললেন তা শুনে হতবাক হয়ে গিয়েছেন অনেকেই।মহাভারতের পাঠ পড়ানো হোক, ইঞ্জিনিয়ারিং বা রবীন্দ্রনাথের নোবেল বর্জন— বিপ্লব আছেন বিপ্লবেই। রাজ্যে গণপিটুনিতে হত্যা নিয়ে এ বার যে মন্তব্য করলেন তিনি তা আগের সমস্ত কিছুকে ছাপিয়ে গিয়েছে।
সম্প্রতি সে রাজ্যে ছেলেধরা নিয়ে গুজব ছড়ায়। আর তার জেরে এক সপ্তাহের মধ্যে চারটে পৃথক ঘটনায় চার জনকে পিটিয়ে মারে জনতা।শুধুমাত্র ভুয়ো খবরের জেরে রাজ্যে একের পর এক গণপিটুনির ঘটনা ঘটছে। সরকার তা আটকাতে কী কোনও পদক্ষেপ করছে, এ প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করতেই বিপ্লব দেব বলেন, “ত্রিপুরায় আনন্দের ঢেউ বইছে। আপনারাও এই ঢেউ উপভোগ করুন। আমাকে দেখুন। আমি কত খুশিতে আছি।” এখানেই থেমে থাকেননি তিনি। আরও এক ধাপ এগিয়ে বলেন, “এই সরকার জনগণের, জনগণই পদক্ষেপ করবে!”
তাঁর এই মন্তব্য শুনে রীতিমতো হতবাক হয়ে গিয়েছিলেন সাংবাদিকরাও। বিভিন্ন মহল থেকে তীব্র প্রতিক্রিয়া আসতে থাকে।প্রশ্ন উঠছে, যখন রাজ্যে গণপিটুনির মতে ঘটনা ঘটছে, রাজ্যের সর্বোচ্চ পদে থেকে এমন একটা সংবেদনশীল বিষয় নিয়েকী ভাবে এমন মন্তব্য করতে পারলেনবিপ্লব?
আরও পড়ুন: ফের উন্নাও! জঙ্গলে টেনে নিয়ে গিয়ে শ্লীলতাহানি, ভিডিয়ো ভাইরাল
সম্প্রতি আগরতলা বিমানবন্দরের নাম পরিবর্তন করে রাজা বীর বিক্রম মাণিক্য কিশোর করা হয়েছে। স্বভাবতই খুশি মুখ্যমন্ত্রী। এ ক্ষেত্রে সেই খুশির ঢেউ-ই কি বোঝাতে চেয়েছেন তিনি? প্রশ্ন উঠছে যদি সেই আনন্দের কথা তিনি ব্যক্ত করে থাকেন, তা হলে ‘জনগণই পদক্ষেপ করবে’ এই মন্তব্যের মধ্যে দিয়ে তিনি কী বোঝাতে চেয়েছেন? বিতর্ক শুরু হয়ে গিয়েছে এই মন্তব্যকে ঘিরেই।
বিপ্লব যেন সর্বদা বিতর্কেই থাকতে চান। শুধু এ দিনের মন্তব্যই নয়, মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর থেকেই একের পর বেফাঁস মন্তব্য করে বিতর্কে জড়িয়েছেন তিনি। যেমন, তিনি বলেছিলেন মহাভারতের যুগে ইন্টারনেট ছিল। তাঁর এই মন্তব্যের পর বেশ হইচই পড়ে গিয়েছিল সর্ব স্তরে। তার পরেও কিন্তু থামানো যায়নি বিপ্লবকে। সিভিল ইঞ্জিনিয়ার, রবীন্দ্রনাথের নোবেল বর্জন, সোমদেব দেববর্মন প্রসঙ্গেও মন্তব্য করে শোরগোল ফেলে দিয়েছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: সাড়ে চার ঘণ্টায় তৈরি হল সাবওয়ে, ফের চমক ভারতীয় রেলের, দেখুন ভিডিয়ো