ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ

মহিলাকে ছুরি, ধৃত আবাসনের রক্ষী

ধর্ষণ ও খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠল অন্ধেরির ফোর বাংলো এলাকার একটি আবাসনের নিরাপত্তারক্ষীর বিরুদ্ধে। নির্যাতিতা বাধা দিতে গেলে তাঁর পেটে দু’বার ছুরিকাঘাত করে অভিযুক্ত রাজা শেবু।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

মুম্বই শেষ আপডেট: ২৩ এপ্রিল ২০১৭ ০৩:১২
Share:

ধর্ষণ ও খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠল অন্ধেরির ফোর বাংলো এলাকার একটি আবাসনের নিরাপত্তারক্ষীর বিরুদ্ধে। নির্যাতিতা বাধা দিতে গেলে তাঁর পেটে দু’বার ছুরিকাঘাত করে অভিযুক্ত রাজা শেবু। মহিলা এখন বিপন্মুক্ত বলে জানিয়েছেন কুপার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। রাজাকে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে ক্ষিপ্ত জনতা।

Advertisement

বৃহস্পতিবার বিকেলের ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, কেব্‌ল অপারেটরকে সঙ্গে নিয়ে মহিলার ফ্ল্যাটে গিয়েছিল অভিযুক্ত রাজা। বয়স কুড়ির কোটায়। পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা। মহিলার বয়স ৫০ বছর। ওই আবাসনের স্থায়ী রক্ষী ছুটিতে থাকায়, দিন কয়েকের জন্যই রাখা হয়েছিল রাজাকে। অপারেটর চলে যাওয়ার পরে মহিলার কাছে ফোন নম্বর চায় রাজা। এর পরেই আপত্তিজনক ভাবে মহিলাকে স্পর্শ করতে শুরু করে সে। মহিলা চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করেন। তখন মহিলাকে সে ধর্ষণের চেষ্টা করে বলেও অভিযোগ। বাধা দিলে রাজা তাকে মারধর করে। মহিলার জামাও ছিঁড়ে দেয়। ছুরি নিয়ে মহিলাকে কোপায় রাজা। ঘটনার সময় মহিলার ৮৫ বছরের পক্ষাঘাতগ্রস্ত মা বাড়িতেই ছিলেন। তিনি চেঁচিয়ে ওঠেন। তাঁকেও রাজা শ্বাসরোধ করে খুনের চেষ্টা করে বলে অভিযোগ।

আরও পড়ুন:​ মোদী কী করেন! কটাক্ষ রাহুলের

Advertisement

ওই তলারই অন্য ফ্ল্যাটে থাকেন মহিলার আত্মীয়রা। চিৎকার শুনে তাঁরা ছুটে আসেন। এক জন বয়স্ক ব্যক্তি রাজাকে চেপেও ধরেন। কিন্তু তাকে মেরে পালানোর চেষ্টা করে সে। ইতিমধ্যেই পুলিশে খবর দেওয়া হয়। জনতার হাতে ধরা পড়ে রাজা। তাকে মারধর করে তুলে দেওয়া হয় পুলিশের হাতে।

পুলিশ জানিয়েছে, যে ছুরি দিয়ে মহিলাকে কোপ মারা হয়েছিল, তা উদ্ধার হয়েছে। রাজার মোবাইল বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তার মেডিক্যাল পরীক্ষা করা হবে।

ওই আবাসনে কোনও সিসিটিভি ছিল না। আশপাশের এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহের চেষ্টা করছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন মহিলার মা। এ ছাড়াও পড়শি ও আত্মীয়দের বয়ানও রেকর্ড করা হবে। পুলিশের আরও সন্দেহ, রাজা আগে কোনও অপরাধের সঙ্গে যুক্ত ছিল কি না। মুম্বইয়ের অন্য কোথাও সে কাজ করত কি না তাও খুঁজে দেখছে পুলিশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement