পিএফ দুর্নীতিতে চাপান-উতোর যোগীর রাজ্যে

মাফিয়া ডন দাউদ ইব্রাহিমের সহযোগী ইকবাল মির্চির সংস্থার সঙ্গে দীওয়ান হাউসিং ফিনান্স লিমিটেড (ডিএইচএফএল)-এর প্রোমোটারদের ঘনিষ্ঠতা নিয়ে তদন্ত করছে ইডি।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

লখনউ শেষ আপডেট: ০৫ নভেম্বর ২০১৯ ০২:০৮
Share:

—ফাইল চিত্র।

উত্তরপ্রদেশ বিদ্যুৎ নিগমের কর্মীদের পিএফের ২৬০০ কোটি টাকা বিতর্কিত সংস্থায় লগ্নি করার কথা সামনে এসেছে সদ্য। যোগী আদিত্যনাথের সরকারের সঙ্গে বিরোধী শিবিরের সমাজবাদী পার্টি ও কংগ্রেসের তীব্র চাপানউতোর শুরু হয়েছে তা নিয়ে।

Advertisement

মাফিয়া ডন দাউদ ইব্রাহিমের সহযোগী ইকবাল মির্চির সংস্থার সঙ্গে দীওয়ান হাউসিং ফিনান্স লিমিটেড (ডিএইচএফএল)-এর প্রোমোটারদের ঘনিষ্ঠতা নিয়ে তদন্ত করছে ইডি। সেই ডিএইচএফএলে বিদ্যুৎকর্মীদের পিএফের টাকা লগ্নি করার বিষয়টি সামনে আসার পরে গত শনিবারই তা নিয়ে সিবিআই তদন্তের সুপারিশ করেছে যোগী সরকার। গ্রেফতার করা হয়েছে দু’জনকে।

আজ এক বিবৃতিতে রাজ্য সরকার দাবি করেছে, দুর্নীতির দরজা খুলে দিয়েছিলেন অখিলেশ যাদব। সন্দেহজনক ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল ২০১৪-র এপ্রিলে। রাজ্যে তখন সমাজবাদী পার্টির সরকার। অখিলেশ জমানার ওই সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে লগ্নির কাজটি এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় ২০১৬-তে।

Advertisement

আরও পড়ুন: কৃষকদের জন্য আরও ক্ষতিপূরণ চান উদ্ধবরা

সমাজবাদী পার্টি অবশ্য এই কেলেঙ্কারির দায় চাপাচ্ছে যোগী সরকারের উপরেই। তাদের দাবি, রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী শ্রীকান্ত শর্মা ও তাঁর দফতরের প্রধান সচিবকে অবিলম্বে বরখাস্ত করতে হবে। বিধানসভার বিরোধী দলনেতা, সমাজবাদী পার্টির রামগোবিন্দ চৌধরির মতে, শ্রীকান্ত ও ওই সচিবকে তাঁদের পদে রেখে দিলে তদন্ত নিরপেক্ষ হওয়া সম্ভব নয়। সমাজবাদী পার্টির এই নেতাটি আজ সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘কর্মীদের পিএফের ২৬০০ কোটি টাকা ডিএইচএফএলে লগ্নি করাটা লুট করার শামিল। বিদ্যুৎমন্ত্রী ও তাঁর প্রধান সচিবের অজান্তে এটা হওয়াই সম্ভব নয়। অবিলম্বে তাঁদের বরখাস্ত করে জেলে পাঠাতে হবে। এবং হাইকোর্টের বিচারপতিকে দিয়ে এর তদন্ত করাতে হবে।’’

শ্রীকান্ত শর্মাকে গত কাল তীব্র ভাষায় আক্রমণ শানিয়েছে কংগ্রেসও। তাদের প্রদেশ সভাপতি অজয়কমার লল্লু এ দিন দাবি করেন, বিদ্যুৎমন্ত্রী নিজে এই কেলেঙ্কারিতে জড়িত। তাঁর লখনউয়ের দফতর ও বাসভবন এবং মথুরার বাড়ির ‘ভিজিটর্স বুক’ দেখলেই এর প্রমাণ মিলবে। এর জবাবে সরকারের মুখপাত্র শ্রীকান্ত আজ জানান, অবিলম্বে ক্ষমা না-চাইলে তিনি লল্লুর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করবেন। শ্রীকান্ত মন্তব্য করেন, ‘‘রাহুল গাঁধীর মতোই ভিত্তিহীন অভিযোগ আনছেন লল্লু।’’ এর পরেই তিনি এই কেলেঙ্কারির সঙ্গে অখিলেশের যোগাযোগের অভিযোগ এনে বলেন, ‘‘গাঁধী পরিবারের প্রিয় বন্ধুই ডিএইচএফএলে ওই লগ্নির পথ সুগম করেছিলেন।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement