ফাইল ছবি
বিজেপি ও লালুপ্রসাদের দল আরজেডি জাতীয় রাজনীতিতে ঘোর শত্রু বলে পরিচিত। কিন্তু বাবা ও পরিবারের লোকেদের ‘বাঁচাতে’ লালু-পুত্র তেজস্বী ২০২০ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পরে সরকার গড়তে গেরুয়া শিবিরকে সমর্থন করতে রাজি ছিলেন— আজ এমনই দাবি করেছেন বিহার বিজেপির সভাপতি সঞ্জয় জয়সওয়াল।
দু’বছর আগে হওয়া বিহারের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি আসন প্রাপ্তির নিরিখে এগিয়ে থাকলেও, ভোটের আগে দেওয়া প্রতিশ্রুতি মেনেই জেডিইউয়ের নীতীশ কুমারকে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে বেছে নেয় এনডিএ জোট। যদিও তার পর থেকে বিভিন্ন কারণে জেডিইউয়ের সঙ্গে কার্যত আদায়-কাঁচকলায় সম্পর্ক বিজেপির। গত কাল প্রধান বিরোধী দল আরজেডির শীর্ষ নেতা তেজস্বী যাদব বলেন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিত্ব না পাওয়ার আগে বিজেপি সাংসদ নিত্যানন্দ রাই আরজেডি-তে যোগ দিতে ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন। নিত্যানন্দ বর্তমানে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। নিত্যানন্দ নিজে নীরব থাকলেও, আজ সাংসদ তথা বিহার বিজেপির সভাপতি সঞ্জয় জয়সওয়াল বলেন, ‘‘তেজস্বীর সঙ্গে নিত্যানন্দের একবারই বিমানে সাক্ষাৎ হয়েছিল। তেজস্বী মিথ্যা দাবি করছেন।’’
জয়সওয়ালের পাল্টা দাবি, তেজস্বী পরিবারকে বাঁচাতে ২০২০ সালে বিজেপিকে সমর্থন করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। গত বিধানসভা ভোটে সর্ব্বোচ্চ আসন পায় আরজেডি। জয়সওয়ালের অভিযোগ, ‘‘সে সময়ে নীতীশকে সরিয়ে রেখে বিজেপিকে পিছন থেকে সমর্থন করে সরকার গড়ার প্রস্তাব দিয়েছিল তেজস্বী শিবির। লক্ষ্য ছিল, বিজেপিকে সরকার গড়ার সুযোগ করে দিয়ে নিজের পরিবারকে বাঁচানো। কারণ, পিতা লালুপ্রসাদ-সহ পরিবারের একাধিক সদস্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে তদন্ত চালু রয়েছে। বিজেপিকে সমর্থনের বিনিময়ে যাদব পরিবারের সদস্যদের জেলে যাওয়া আটকাতে চেয়েছিলেন তেজস্বী।’’ জয়সওয়ালের দাবি, ‘‘বিজেপি দুর্নীতিকে প্রশ্রয় না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। তাই এখন মিথ্যা অভিযোগ তুলছেন তেজস্বী।’’