ফাইল চিত্র।
সোমবার বাংলায় চার পুরনিগমের ভোটগণনার আবহে গোয়ার পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডে বিধানসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ ছিল। উত্তরপ্রদেশে ছিল দ্বিতীয় দফার ৫৫ আসনে ভোট। অন্য দিকে, উত্তরাখণ্ডে ভোটগ্রহণ ছিল ৭০ আসনে। জাতীয় নির্বাচন কমিশনের দেওয়া সর্ব শেষ তথ্য অনুযায়ী, বিকেল ৫টা পর্যন্ত উত্তরপ্রদেশে ভোট পড়েছে ৬১.২০ শতাংশ। আর উত্তরাখণ্ডে ৫৯.৫১ শতাংশ। কয়েকটি বিক্ষিপ্ত ঘটনা ছাড়া সব জায়গায় নির্বিঘ্নেই ভোট হয়েছে বলে জানানো হয়েছে কমিশনের তরফে।
উত্তরপ্রদেশে দ্বিতীয় দফার ভোটে নজরকাড়া কেন্দ্রগুলির মধ্যে রয়েছে বদায়ুঁ, শাহজাহানপুর, রামপুর, মোরাদাবাদ, বরেলি, বিজনৌর, আমরোহা। প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন মোট ৫৮৬ জন প্রার্থী। এঁদের মধ্যে ওজনদার প্রার্থীরা হলেন রামপুর থেকে কংগ্রেসের নবাব কাজিম আলি খান, বরেলি ক্যান্টনমেন্ট থেকে সমাজবাদী পার্টির সুপ্রিয়া আরন, গঙ্গোহ থেকে কীরাত সিংহ গুর্জার ও নওগাওয়ান আসন থেকে বিজেপির দেবেন্দ্র নাগপাল। লড়েছেন সমাজবাদী পার্টির বর্ষীয়ান নেতা মহম্মদ আজম খান এবং রাজ্যের অর্থমন্ত্রী সুরেশ খন্নাও। উত্তরপ্রদেশে গত বিধানসভা নির্বাচনে এই ৫৫ আসনের মধ্যে ৪০টিতে জিতেছিল বিজেপি। সমাজবাদী পার্টি (এসপি) ১৩ আসন জিতেছিল আর বহুজন সমাজ পার্টি (বিএসপি) পেয়েছিল দু’টি আসন। সোমবার কানপুরের দেহাটে দলীয় কর্মসূচিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘উত্তরপ্রদেশে দ্বিতীয় দফার ভোটে উচ্চ হারে ভোটদান বলে দিচ্ছে, বিজেপি ফের ক্ষমতায় ফিরে আসছে।’’
অন্য দিকে, উত্তরাখণ্ডে ১৩ জেলা মিলিয়ে যে ৭০ কেন্দ্রে নির্বাচন, তাতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ৬৩২ জন প্রার্থী। তাঁদের মধ্যে বিশেষ ভাবে নজর রয়েছে বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিংহ ধামি, সতপাল মহারাজ, ধ্যান সিংহ রাওয়াত, মদন কৌশিক, হরিশ রাওয়াতের উপর।