ভোট চলছে হরিয়ানার ৯০টি কেন্দ্রে। ছবি: পিটিআই।
বিধানসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে হরিয়ানায়। শুক্রবার সকাল ৭টা থেকে ভোটগ্রহণ পর্ব শুরু হয়েছে। চলবে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। হরিয়ানার ৯০টি কেন্দ্রে এক দফাতেই ভোট হচ্ছে। আগামী মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) ভোটের ফলাফল জানা যাবে। নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, বিকেল ৫টা পর্যন্ত হরিয়ানায় ভোট পড়েছে ৬১ শতাংশ। বিকেল ৩টে পর্যন্ত সেখানে ভোটদানের হার ছিল ৪৯.১ শতাংশ। ভোট দিয়েছেন কুস্তিগির বিনেশ ফোগাট। ঘোড়ায় চড়ে ভোট দিতে গিয়েছিলেন বিজেপি সাংসদ নবীন জিন্দল। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টর থেকে শুরু করে রাজ্যের একাধিক তারকা প্রার্থী সকাল সকাল ভোট দিয়ে ফেলেছেন।
শনিবার সকাল থেকে হরিয়ানার বিভিন্ন কেন্দ্র কড়া নিরাপত্তার মোড়কে ঢেকে গিয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি আধা সামরিক বাহিনীও নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে। পরিসংখ্যান বলছে, ৩০ হাজারের বেশি পুলিশকর্মী এবং ২২৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে ভোটের জন্য। প্রতিটি বুথে ওয়েব কাস্টিংয়ের ব্যবস্থা রয়েছে। সকাল থেকে মোটের উপর শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণ।
রাজধানী দিল্লির পড়শি হরিয়ানায় মূল লড়াই শাসকদল বিজেপি এবং বিরোধী কংগ্রেসের মধ্যে। গত এক দশক ধরে এই রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় রয়েছে। এ ছাড়াও হরিয়ানার জাঠ অধ্যুষিত এলাকায় প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমপ্রকাশ চৌটালার আইএনএলডি (ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল লোকদল) এবং তাঁর নাতি তথা প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী দুষ্মন্ত চৌটালার দল জেজেপি (জননায়ক জনতা পার্টি)।
হরিয়ানার নির্বাচনে উল্লেখযোগ্য প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী নয়াব সিংহ সাইনি (বিজেপি, লডওয়া), প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিরোধী দলনেতা ভূপেন্দ্র সিংহ হুডা (কংগ্রেস, গারহি সাম্পলা-কিলোই), প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী দুষ্মন্ত চৌটালা (জেজেপি, উচানা কালান) প্রমুখ। অলিম্পিক্স থেকে পদক হারিয়ে ফিরে নির্বাচনের মুখে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন বিনেশ ফোগাট। দল তাঁকে জুলানা কেন্দ্র থেকে প্রার্থী করেছে। তাঁর কেন্দ্রের ফলাফলের দিকেও আলাদা করে নজর থাকবে।
হরিয়ানায় বিধানসভা নির্বাচনে মোট ভোটারের সংখ্যা দু’কোটিরও বেশি। তাঁদের মধ্যে মহিলা ভোটারের সংখ্যা প্রায় ৯৬ লক্ষ। তাঁরা ১০৩১ জন প্রার্থীর জয়-পরাজয় নির্ধারণ করবেন। মোট বুথের সংখ্যা ২০৬২৯।
শনিবার ভোটপর্ব শেষের পরেই বিভিন্ন চ্যানেলে প্রকাশ্যে আসতে শুরু করবে হরিয়ানার বুথফেরত সমীক্ষা। রাজ্যের রাজনৈতিক সমীকরণ কোন দিকে মোড় নিতে চলেছে, তার ইঙ্গিত পাওয়া যেতে পারে এই সমীক্ষাগুলির ফলাফল থেকে। যদিও ভারতীয় গণতন্ত্রের ইতিহাস বলছে, অনেক সময়ই এমন সমীক্ষার সঙ্গে প্রকৃত ফল মেলে না।