যন্তরমন্তরে মৃণালিনী সিংহ। ছবি: পিটিআই।
এক পদ এক পেনশন ইস্যুতে ফের এক বার মুখ পুড়ল মোদী সরকারের। এত দিন এ নিয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন প্রাক্তন সেনাপ্রধান-সহ আধিকারিকেরা। এ বার তা নিয়ে নিজের সরকারেরই মন্ত্রীর মেয়ের বিক্ষোভের মুখে মোদী সরকার। রবিবার দিল্লির যন্তরমন্তরের বিক্ষোভমঞ্চে সামিল হলেন প্রাক্তন সেনাপ্রধান ও বিদেশ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী জেনারেল ভি কে সিংহের মেয়ে মৃণালিনী সিংহ। বিষয়টি দ্রুত নিষ্পত্তি করতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে আর্জি জানিয়েছেন তিনি।
এ দিন যন্তরমন্তরের মঞ্চে উঠে মৃণালিনী বলেন, “বিক্ষোভরতদের সহমর্মিতা দেখাতে আমি এখানে এসেছি। যদি বয়স্করা অনশন করতে পারেন তবে আমারও এখানে এসে তাঁদের সঙ্গে সামিল হওয়াটা উচিত বলে মনে হয়েছে।” সেনা পরিবারের মেয়ে মৃণালিনী নিজের পারিবারিক ঐতিহ্য জানাতেও ভোলেননি। তিনি বলেন, “বাবা ভি কে সিংহ তো বটেই, সেনাবাহিনীতে ছিলেন আমার ঠাকুরদাও। এমনকী আমার ছেলেও হয়তো সেনাবাহিনীতেই যোগ দেবে।” বিষয়টি বহু দিন ধরেই ঝুলে রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। পাশাপাশি, তিনি জানিয়েছেন, এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠিও দিয়েছেন তাঁর বাবা। মোদী সরকার যে সেনার দাবি মেনে নেবে তা নিয়েও আশাপ্রকাশ করেছেন মৃণালিনী।
গত দু’দশক ধরেই এক পদের জন্য এক পেনশনের দাবি জানাচ্ছে সেনা। গত বছরে লোকসভার নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে নরেন্দ্র মোদীর অন্যতম প্রতিশ্রুতিও ছিল এই দাবি দ্রুত মেটানো। কিন্তু, কেন্দ্রে ক্ষমতা দখলের পরও তা নিয়ে কোনও অগ্রগতি হয়নি। এমনকী স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে এ নিয়ে কোনও উল্লেখযোগ্য কথা বলেননি মোদী। যা নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন যন্তরমন্তরে বিক্ষোভরতরা।
এক পদ এক পেনশন নিয়ে গত ১২ জুন থেকে যন্তরমন্তরে ধর্নায় সামিল হয়েছেন প্রাক্তন সেনা আধিকারিকেরা। গত ১৭ অগস্ট প্রধানমন্ত্রীকে একটি খোলা চিঠি দিয়ে প্রতিবাদও জানান ভারতীয় সেনাবাহিনীর দশ প্রাক্তন প্রধান।
যন্তরমন্তরে বিক্ষোভের পাশাপাশি এ বার সমস্ত সরকারি অনুষ্ঠান বয়কটেরও সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রতিবাদকারীরা। এর মধ্যে রয়েছে আগামী ২৮ অগস্ট ১৯৬৫-এর পাকিস্তান যুদ্ধের পঞ্চাশ বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানও।