ইউটিউবে কোডিং শিখে চাকরি। ছবি: টুইটার
ইউটিউব থেকে কোডিং শিখে মাইক্রোসফ্ট কোম্পানিতে চাকরি পেলেন ইনদওরের যুবক। এটাই তাঁর জীবনের প্রথম চাকরি। শুরুতেই বাজিমাত করেছেন ২৫ বছরের যশ সোঙ্কিয়া। তিনি দৃষ্টিহীন। তবে শারীরিক এই প্রতিবন্ধকতা তাঁর সাফল্যে বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি।
মাইক্রোসফ্টে সফটঅয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে খুব শিগগিরই যোগ দেবেন যশ। এর আগে তাঁর অন্য কোনও চাকরির অভিজ্ঞতা ছিল না। ২০২১ সালে স্নাতক হয়েছেন তিনি। তার পর থেকে ঘরেই বসে ছিলেন। হাতে কোনও কাজ ছিল না। সময় নষ্ট না করে যশ ইউটিউবে মনোনিবেশ করেন। মন দিয়ে সেখানেই কোডিং শিখতে শুরু করেন তিনি। আর পাঁচটা ছেলেমেয়ের মতো ইউটিউব থেকে কোডিং শেখা যশের জন্য সহজ ছিল না। কারণ তিনি চোখে দেখতে পান না।
স্নাতকের ডিগ্রি নয়, নিজের চেষ্টায় শেখা কোডিংয়ের জোরেই চাকরি পেয়েছেন যশ। মাইক্রোসফ্টের নির্বাচন পদ্ধতিতে এই কোডিংয়ের পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল। সঙ্গে ছিল তিন ধাপের ইন্টারভিউ। সব ক্ষেত্রেই সসম্মানে উত্তীর্ণ হয়েছেন ইনদওরের তরুণ।
জানা গিয়েছে, ইনদওরের যশ সোঙ্কিয়া আট বছর বয়সে কনজেনিটাল গ্লুকোমা রোগে আক্রান্ত হয়ে দু’চোখের দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছিলেন। এই বিরল রোগ জিনগত। যশ বলেন, ‘‘কলেজ পাশ করার পর আমি ইন্টারভিউয়ের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। কোডিংয়ের কিছুই প্রায় জানতাম না। মাইক্রোসফ্টে চাকরি পাওয়ার মতো কোডিং তো একেবারেই জানতাম না। ক্যাম্পাস প্লেসমেন্টের মাধ্যমে এই চাকরিটা আমি পাইনি। কলেজ পাশ করার পর আমি ঘরে বসেই কোডিং শিখেছি আর অভ্যাস করেছি। ইউটিউব দেখে দেখেই করেছি সে সব। আমার যে বন্ধুরা বড় কোম্পানিতে চাকরি করে, তাদের সাহায্যও পেয়েছি।’’
সফটঅয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে শুরুতেই মাইক্রোসফ্টে যশের বেতন হতে চলেছে ২০ লক্ষ টাকা। সঙ্গে আরও বাড়তি সুবিধাও পাবেন তিনি। যশ জানিয়েছেন, তিনটি কঠিন ধাপের ইন্টারভিউয়ের গণ্ডি পেরিয়ে কীভাবে তিনি এই চাকরি পেয়েছেন। এপ্রিল-মে মাস নাগাদ ইন্টারভিউ হয়েছিল। সেপ্টেম্বরের ৫ তারিখ কাজে যোগ দেবেন যশ। তাঁদের অফিস বেঙ্গালুরুতে। ইনদওরের বাড়ি থেকেই আপাতত কাজ করবেন তিনি। অফিস থেকে ডাকলে বেঙ্গালুরু যাবেন বলে জানিয়েছেন।