(বাঁ দিকে) এই বিষ্ণুমূর্তিটিই উদ্ধার হয়েছে নদী থেকে। (ডান দিকে) উদ্ধার হয়েছে এই শিবলিঙ্গও। ছবি: সংগৃহীত।
কর্নাটকে সেতু নির্মাণের সময় উদ্ধার ‘শতাব্দীপ্রাচীন’ বিষ্ণু মূর্তি। খুঁজে পাওয়া গেল পুরনো একটি শিবলিঙ্গও। তেলঙ্গানা-কর্নাটক সীমানার কাছে রায়চুরে কৃষ্ণা নদী থেকে এই মূর্তি দু’টি উদ্ধার হয়েছে। সেই মূর্তি দু’টির ছবিও ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে। উদ্ধার হওয়া বিষ্ণুমূর্তির সঙ্গে অযোধ্যার বালক রামের বিগ্রহেরও মিল পেয়েছেন স্থানীয়দের কেউ কেউ।
কর্নাটকের প্রশাসনিক কর্তারা বুধবার জানিয়েছেন, তেলেঙ্গানা-কর্নাটক সীমানার কাছে রায়চুরে কৃষ্ণা নদীর উপর একটি সেতু তৈরি করা হচ্ছিল। সেই কাজ করার সময়ই নদী থেকে উদ্ধার হয় মূর্তি দু’টি। মূর্তি উদ্ধারের ঘটনায় এলাকায় যথেষ্ট হইচই পড়ে গিয়েছে। সেতু নির্মাণের কাজ কিছু ক্ষণের জন্য বন্ধ রাখতে হয়।
প্রশাসনিক আধিকারিকদের একাংশের ধারণা, বিগ্রহ দু’টি ‘শতাব্দীপ্রাচীন’। মূর্তি দু’টি হাজার বছরের পুরনো হতে পারে বলেও মনে করছেন কেউ কেউ। দু’টি মূর্তিই উদ্ধারের পর ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ (আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া)-এর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
তবে স্থানীয়দের একাংশ দাবি করছেন, বালক রামের বিগ্রহের সঙ্গে উল্লেখযোগ্য ভাবে মিল রয়েছে বিষ্ণুমূর্তিটির। ঘটনাচক্রে, অযোধ্যার বালক রামের বিগ্রহ যিনি তৈরি করেছেন, সেই স্থপতি অরুণ যোগীরাজও কর্নাটকের বাসিন্দা।