বিরাট-অনুষ্কার বিয়ে এখনও অনেকের চোখে লেগে রয়েছে। তাঁদের বিয়ের ভিডিয়ো দেখে আবেগাপ্লুত হতে বাধ্য যে কেউ। এমনকি মনে হতেই পারে, ‘ইস! আমার বিয়ের ভিডিয়োটাও যদি এরকম হত!’ তাঁদের একে অপরের দিকে চেয়ে দেখা, চোখের ইশারায় কথা বলা, জড়িয়ে ধরে অনুষ্কার কপালে বিরাটের চুমু, সবটাই ভীষণ আবেগতাড়িত।
কিন্তু জানেন কি বিয়ের মুহূর্তের সেই আবেগ ক্যামেরাবন্দি করার পিছনে কার হাত রয়েছে? এমন ভিডিয়ো বানাতে কী কী করতে হয়েছে তাঁকে?
বিশাল পঞ্জাবি। ১৯৮০ সালে ঘানায় জন্ম বিশালের। শুধু বিরাট-অনুষ্কার বিয়েই নয়, রণবীর-দীপিকা, বিপাশা-কর্ণের বিয়ের ভিডিয়ো শুটও তিনিই বানিয়েছেন। কী ভাবে ওয়েডিং ভিডিয়োগ্রাফির পেশায় আসা বিশালের?
ছোটবেলার বেশিটাই বিশালের কেটেছে ইংল্যান্ডে। ইংল্যান্ডের স্কুলেই তিনি ড্রামা, ফিল্মমেকিং এবং ব্যবসা নিয়ে পড়াশোনা করেন। ছোট থেকেই ফিল্মে কাজ করার ইচ্ছা তাঁর। ফিল্মে কাজও করেছেন বহু দিন। কিন্তু সে ভাবে সফল হননি। বিশালের দাবি, নিজের বিয়ের সময় ভিডিয়োগ্রাফি করার সময় টাকার অভাব তাঁকে এই পেশায় নিয়ে আসে।
ভিডিয়োগ্রাফি অনেক খরচসাপেক্ষ হওয়ায় বিশাল নিজের বিয়েতে নিজেই ভিডিয়োগ্রাফির দায়িত্ব নিয়ে নেন। কিন্তু তাঁর পক্ষে ক্যামেরা হাতে ভিডিয়োগ্রাফি করা সম্ভব ছিল না। তাই তিনি বন্ধুদের ক্রমাগত নির্দেশ দিতে থাকেন কখন কী শুট করতে হবে, কোন মুহূর্তটাকে ফ্রেমবন্দি করতে হবে, সবটা বলে দিচ্ছিলেন।
কিন্তু বিয়ের পর ভিডিয়ো দেখে খুবই হতাশ হয়ে পড়েন বিশাল। যেমনটা চেয়েছিলেন, যেখানে যেমন ভেবেছিলেন, সেগুলোর প্রায় কিছুই ফুটিয়ে তোলা যায়নি ভিডিয়োতে। তারপরই বিশালের ওয়েডিং ভিডিয়োগ্রাফিতে আসা।
এর আগে বিশাল রেড চিলিজ এন্টারটেইনমেন্ট-এ লাইন প্রডিউসার হিসাবে তাঁর কেরিয়ার শুরু করেছিলেন। ‘ম্যায় হু না’, ‘অশোকা’, ‘পহেলি’, ‘ডন’, ‘হানিমুন’-এ তিনি কাজ করেন। দশ বছর ফিল্মে কাজ করেছেন তিনি। তারপরই এই সিদ্ধান্ত।
বিশাল পঞ্জাবির ডকুমেন্টারি ফিল্ম ‘হার্টবিটস’ ভারতের প্রথম ওয়েডিং ফিল্ম যা আন্তর্জাতিক ফিল্মোৎসবে দেখানোর সুযোগ পেয়েছিল।
‘দ্য ওয়েডিং ফিল্মার’— ২০১৩ সালে এই সংস্থাটা চালু করেন বিশাল। বলি তারকাদের বিয়ের মুহূর্ত এখন তাঁর হাতেই বাঁধা পড়ে।
শুধু তারকারাই নন, মুকেশ অম্বানীর ছেলে-মেয়ের বিয়েও তিনি শুট করেন। সাধারণ মানুষও তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেন ওয়েডিং ভিডিয়োগ্রাফির জন্য।