প্রতীকী চিত্র।
স্বামী নাকি নিয়মিত স্নান করেন না, দাড়ি কামান না, এমনকি দাঁতও মাজেন না। এই অভিযোগে বিবাহ বিচ্ছেদের আর্জি জানালেন বিহারের বৈশালী জেলার এক মহিলা। শুধু তাই নয়, স্বামীর বিরুদ্ধে শিষ্টাচারের অভাবের অভিযোগও তুলেছেন তিনি।
সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, বিহারের রাজ্য মহিলা কমিশনে অভিযোগ করেন সোনি দেবী নামে বছর কুড়ির ওই মহিলা। অভিযোগ পেয়ে সোনি দেবী ও তাঁর স্বামী বছর তেইশের মণীশ রাম-কে ডেকে পাঠায় কমিশন। সেখানে সোনি দেবীর অভিযোগ শোনার পর কমিশন মণীশকে দু’মাসের সময় দিয়েছে। তাঁকে বলা হয়েছে নিজের জীবনযাত্রার ধরন পরিবর্তন করতে। না হলে আইন অনুযায়ী যা পদক্ষেপ করার করবে মহিলা কমিশন।
কমিশনের সদস্যা প্রতীমা সিন্হা বলেছেন, বৃহস্পতিবার তাঁদের কাছে এই অভিযোগ আসে। যেখনে নয়গাঁ-এর বাসিন্দা সোনি দেবী তাঁদের কাছে অভিযোগ করেন, স্বামীর নিয়মিত স্নান না করা, দাঁত না মাজা, দাড়ি না কাটা ও খারাপ ব্যবহারের। তারপরই তাঁরা দু’জনকে ডেকে পাঠান। তবে এমন ‘তুচ্ছ’ কারণে যদি বিচ্ছেদ হয়ে যায়, তবে তা দুর্ভাগ্যজনক বলে দাবি করেছেন তিনি। তাই তাঁরা দু’জনকেই সময় দিয়েছেন।
সোনি দেবী তাঁর আবেদনে জানিয়েছেন, ২০১৭ সালে তাঁদের বিয়ে হয়। তাঁর স্বামী পেশায় পাইপ মিস্ত্রি। মণীশ দিনের পর দিন স্নান করেন না। এমনকি ১০ দিন একটানা স্নান না করেও নাকি থেকেছেন তিনি। এছাড়াও তিনি নিয়মিত দাঁত মাজেন না, দাড়িও কাটেন না। তাঁর প্রতি আচরণও ঠিকঠাক নয় মণীশের, তাই তিনি বিচ্ছেদ চেয়েছেন।
আরও পড়ুন: বর্ষবরণের রাতে প্রকাশ্যে যৌন নির্যাতন, ভয়ে-যন্ত্রণায় চিত্কার যুবতীর
সংবাদ সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, সোনি দেবী গয়না ও অন্যান্য সামগ্রী, যা বিয়ের সময় মণীশকে পণ হিসেবে দেওয়া হয়েছিল সেগুলি ফিরিয়ে দিতে বলেছেন। তাঁদের কোনও সন্তানও নেই। সোনি নাকি দাবি করেছেন, তাঁদের মধ্যে স্বামী-স্ত্রীর স্বাভাবিক সম্পর্কও নেই।
আরও পড়ুন: বিয়ের আসরে চলতে শুরু করল কনের ‘বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের’ ভিডিয়ো
মণীশ অবশ্য জানিয়েছেন, তিনি বিবাহবিচ্ছেদ চান না। তাঁর বিরুদ্ধে স্ত্রীর যা অভিযোগ আছে সেগুলি যাতে না থাকে তার চেষ্টা করবেন। নিজেকে পরিবর্তন করে ফের স্ত্রীর মন জয় করবেন তিনি।