প্রতীকী চিত্র।
বেশ কয়েক মাস আগে বাগদান হয়ে গিয়েছিল। বিয়েও হয়েছিল যথাসময়ে। কিন্তু বিয়ের প্রথম রাতের আগেই যুবকের হাতে এমন কিছু ছবি, ভিডিয়ো, স্ক্রিনশট এল যাতে বিয়েটাই ভাঙার মুখে। সেগুলি ছিল স্ত্রীর পর্ন ভিডিয়ো। গোটা বিষয়টি স্বামীর কাছে লুকিয়ে যাওয়া ও বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা রমেশ (নাম পরিবর্তিত) ও সাধনার (নাম পরিবর্তিত) বিয়ের ঠিক হওয়ার পর গত বছর জুনেই তাঁদের বাগদানও সারা হয়ে যায়। নভেম্বরে তাঁদের বিয়ে হয় কর্নাটকের হাসান জেলায়। কিন্তু কর্মসূত্রে দু’জনে দুই জায়গায় থাকায় ১৫ ডিসেম্বর থেকে একসঙ্গে থাকার সিদ্ধান্ত হয়।
সবই পরিকল্পনা মাফিক চলছিল। কিন্তু ১৩ ডিসেম্বর রমেশের মেসেঞ্জারে কয়েকটি ছবি ও একটি ফোন নম্বর আসে। সেখানে দাবি করা হয়, বিয়ের আগে সাধনার সঙ্গে রাহুল নামে যুবকের সাত বছরের সম্পর্ক ছিল। রাহুল দাবি করেন ২০১৯-এর জুনে সুরেশের সঙ্গে বাগদানের পরেও সাধনার সঙ্গে তাঁর শারীরিক সম্পর্ক হয়। হঠাত্ রাহুলের সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙে বেরিয়ে যান সাধনা। সুরেশকে নিজের দাবির সপক্ষে প্রমাণ হিসেবে, বেশ কিছু ছবি, ভিডিয়ো এবং সাধনার সঙ্গে চ্যাটের স্ক্রিনশট পাঠান রাহুল। ভিডিয়োটি রাহুল ও সাধনার শারীরিক সম্পর্ক চলাকালীন রেকর্ড করা হয়, ছবিগুলিও তাই।
আরও পড়ুন: মুম্বইয়ের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে মজা করে ক্ষমা চাইলেন দিব্যাঙ্কা
এরপরই থানায় অভিযোগ জানানোর সিদ্ধান্ত নেন সুরেশ। গোটা বিষয় নিয়ে এমনকি ছবি, ভিডিয়োগুলি সম্পর্কে বিস্তারিত তদন্তের দাবি করেছেন তিনি। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ রাহুলকে গ্রেফতার করেছে। রাহুল পুলিশের কাছে তাঁর সঙ্গে সাধনার সম্পর্কের কথা স্বীকারও করেছেন।
আরও পড়ুন: মৃত্যু মিছিলের প্রতিফলন সংবাদপত্রে, ১০ পৃষ্ঠা জুড়ে শুধুই মৃতদের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন!
এই ঘটনা সামনে আসার পর সাধনা নাকি আত্মহত্যার হুমকি দিয়েছেন। এমনকি, একটি নোটে তিনি লিখে রেখেছেন, তাঁকে সুরেশ ও তাঁর পরিবার আত্মহত্যায় প্ররোচনা দিচ্ছে। সুরেশ তাঁর অভিযোগে দাবি করেছেন, রাহুলের সঙ্গে সম্পর্কের কথা সাধনার বাড়ির লোকেরাও জানতেন। তাঁরাও লুকিয়ে গিয়েছেন বিষয়টি। এমনকি সাধনার এক কাকা নাকি সুরেশকে হুমকিও দেন পুলিশে যাওয়া থেকে বিরত রাখতে। পুলিশ সুরেশের অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু করেছে।