Viral Video

কাশ্মীরে পাক গোলা থেকে পড়ুয়াদের বাঁচাতে কোলে নিয়ে দৌড় জওয়ানদের, ভাইরাল ভিডিয়ো

পাক সেনা নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর গুলি চালাতে থাকে। গ্রামবাসীদের যথারীতি নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে নিয়ে যান ভারতীয় সেনারা। তখনই তাঁরা খেয়াল করেন, সীমান্ত লাগোয়া সানডোট গ্রামের সরকারি স্কুলে আটকে পড়েছে প্রায়২০ জন পড়ুয়া। যারা পাক গুলির মাঝে পড়ে বেরিয়ে আসতে পারেনি।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শ্রীনগর শেষ আপডেট: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১০:৩২
Share:

পড়ুয়াদের উদ্ধার করছেন জওয়ানরা। ছবি: এএনআই-এর টুইট থেকে নেওয়া।

পাকিস্তানের সেনা যতই কাশ্মীরে নিরীহ কাশ্মীরিদের উপর গুলি চালাক, বুক দিয়ে তাঁদের রক্ষা করবে ভারতীয় সেনা। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হওয়ার পর এমনটাই বলছেন নেটিজেনরা। শনিবার পাক গুলিবৃষ্টির মাঝে পড়ে যায় কিছু স্কুল পড়ুয়া। তাদেরই কোলে করে তুলে নিয়ে নিরাপদ জায়গায় পৌঁছে দেন ভারতীয় সেনা-জওয়ানরা।

Advertisement

কাশ্মীরে পুঞ্চ সেক্টরে শনিবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে সংঘর্ষবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে পাক সেনা নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর গুলি চালাতে থাকে। গ্রামবাসীদের যথারীতি নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে নিয়ে যান ভারতীয় সেনারা। তখনই তাঁরা খেয়াল করেন, সীমান্ত লাগোয়া সানডোট গ্রামের সরকারি স্কুলে আটকে পড়েছে প্রায়২০ জন পড়ুয়া। যারা পাক গুলির মাঝে পড়ে বেরিয়ে আসতে পারেনি।

স্কুল ছুটে যান ভারতীয় সেনারা। একে একে বের করে নিয়ে আসেন পড়ুয়াদের। পড়ুয়ারা নিরাপদ স্থানে যাওয়ার জন্য ছুটছিল। কিন্তু তাদের মধ্যে কয়েকজন পিছিয়ে পড়তে থাকে। ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, সেই শিশুদের কোলে তুলে নিয়ে নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যাচ্ছেন জওয়ানরা। পড়ুয়াদের একটি সাঁজোয়া গাড়িতে তুলে দেওয়া হয়। তারা নিরাপদ জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে বুঝতে পেরে, হাসি মুখে জওয়ানদের দিকে হাত নাড়তে থাকে। এক পড়ুয়া জিজ্ঞেস করে তার বইয়ের ব্যাগ কোথায়? এক জওয়ান বলেন, ব্যাগ বাড়িতে গিয়ে পেয়ে যাবে।

Advertisement

আরও পড়ুন : রানু মণ্ডলকে সোশ্যাল মিডিয়ায় টক্কর দিচ্ছেন এক উবের চালক

আরও পড়ুন : বর্ষায় এক গলা জল পেরিয়ে ১১ বছর স্কুল যাচ্ছেন শিক্ষিকা, নেই একদিনও কামাই

সংবাদ সংস্থা এএনআই ১৪ সেপ্টেম্বর টুইটারে ভিডিয়োটি পোস্ট করেছে। পোস্ট হতেই সেটি ভাইরাল হয়ে যায়। এই স্কুলটি ছাড়াও বালাকোট ও বেহেরুটের গ্রামের দু’টি স্কুল থেকেও ভারতীয় জওয়ানরা পড়ুয়াদের উদ্ধার করেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement